পর্যটকদের নামাযের বিধান, ঘাট, ষ্টেশন, এয়ারপোর্টে নামাযের বিধান, জাহাজ ও শীপে অবস্থান কারীর হুকুম, মুসাফিরের নামায পড়ার নিয়ম।
পর্যটকদের বিধান
যে সকল পর্যটক বছরের পর বছর বিশ্বভ্রমণ করে বেড়ায়, তারা যদি অবস্থানস্থল থেকে ভ্রমণ আরম্ভ করার সময় ৪৮ মাইল বা তার চেয়ে অধিক দূরত্বের কোন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বের হয়ে থাকে এবং কোন স্থানে ১৫ দিন বা তার চেয়ে অধিক অবস্থানের নিয়ত না করে, তাহলে তারা সবসময় কসর পড়বে। আর যদি ৪৮ মাইল বা তার অধিক দূরত্বের উদ্দেশ্যে বের হয়ে কোথাও ১৫ দিন বা তার অধিক অবস্থানের নিয়ত করে, তাহলে চলতি পথে কসর পড়বে। আর অবস্থানস্থলে পৌঁছার পর পূর্ণ নামায পড়বে।
আর যদি কোন অবস্থানস্থল থেকে সফর আরম্ভ করার সময় ৪৮ মাইল বা তার চেয়ে অধিক দূরত্বে ভ্রমণের নিয়ত না করে থাকে, তাহলে সে যত দূরত্বের পথ পাড়ি দিক না কেন, সব সময় পূর্ণ নামায আদায় করবে।
আদ্দুররুল মুখতার (২য় খণ্ড, ১২১ পৃ:) আছে-
(من خرج من عمارة موضع اقامته) - ( قاصدا ) ومن طاف الدنيا بلاقصد لم يقصر (مسيرة ثلاثة أيام ولياليها- صلى فرض الرباعي ركعتين) الدر المختار ۱۲۱/۲-۱۲۲
ইমদাদুল ফাতাওয়া ১/৫৭৩
জাহাজ ও শীপে অবস্থান কারীর হুকুম
যে সকল লোক সবসময় নৌকা ইত্যাদিতে বসবাস করে এবং যারা জাহাজ ও শীপে মাসের পর মাস অবস্থান করে। কারো কারো স্ত্রী পরিবার ও তাদের সাথে সেখানে অবস্থান করে, তারা নৌকা, জাহাজ ও শীপে যতদিন অবস্থান করুক না কেন, কসর পড়বে। কেননা নদী সাগর ও তদস্থ যান বাহন শরীয়তের দৃষ্টিতে ইকামতের উপযুক্ত স্থান নয়। তাই সেখানে ১৫ দিন বা তার চেয়ে অধিক অবস্থানের নিয়ত করলে মুকীম বলে গণ্য হয় না। বরং মুসাফিরই থেকে যায়। এমনকি স্ত্রী-পরিজন নিয়ে জাহাজ-শীপে অবস্থান নিলেও মুসাফিরই থাকবে মুকীম হবে না।
(ফাতাওয়া শামী-২/১২৬)
ঘাট, ষ্টেশন, এয়ারপোর্টে নামায
সফরের উদ্দেশ্যে বের হয়ে ঘাট, ষ্টেশন ও বিমানবন্দরে নামায আদায় করতে হলে দেখতে হবে ঘাট, ষ্টেশন কিংবা বিমানবন্দরটি নিজ জনবসতির অন্তর্গত কি না যদি এমন হয়, তাহলে এসব স্থানে কসর করবে না। আর যদি অন্তর্গত না হয়, বরং নিজ জনবসতি থেকে ধর্তব্যপূর্ণ দূরত্বে বিচ্ছিন্ন স্থানে হয়, তাহলে এ সব স্থানেও কসর করবে।
বাদায়ে উসানায়ের ২৬৪ পৃষ্ঠায় আছে