আহলে হাদীস ও সালাফী সম্প্রদায়ের বড় আলেম ও মুবাল্লেগ মাওলানা মোঃ জুনাগড়ী এর একথাও শুনে নিন। তিনি বলেন, “যখন আমাদের নিকট কুরআন ও হাদীস বিদ্যমান এবং আমরা নিজেরাই পড়তে পারি, সেগুলো তখন অন্য কোন ব্যক্তি থেকে জিজ্ঞাসা করার কোন প্রয়োজন নেই।
-তরীকে মুহাম্মদী, পৃষ্ঠা ১৩৯
শুধু কুরআন পড়ে অনেক চিন্তাবিদ ও গবেষক কুরআন এবং হাদীসের সঠিক অর্থ বুঝতে পারেনি। নবী কারীম (সা.)-এর বিশ্লেষণের প্রয়োজন হয়েছিল। আর এই সালাফীরা বলেন, কোন ব্যক্তি থেকে কোন বিষয় জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন নেই । অথচ এই কুরআন ও হাদীসকে শুধু নিজে নিজেই পড়ে ও বুঝে। মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানী খতমে নবুয়তের অস্বীকার করে নিজেই নবী হওয়ার দাবী করে কাদিয়ানী হয়ে গেল। চাকরালবী এবং স্যার সাইয়্যেদ আহমদ খা খৃস্টান হয়ে গেল। নিয়াজ ফতেহপুরী মূলহেদ (একত্ববাদের অস্বীকারকারী) হয়ে গেল। আসলাম জিরাজপুরী হাদীস অস্বীকারকারী হয়ে গেল এবং আহমদ রেজা খাঁ বেরলবী বিদআতীদের আলা হযরত হয়ে গেল। বারক জিলানী দুই কুরআনের প্রবক্তা হয়ে গেল এবং আবুল আলা মওদুদী মাওছফী হয়ে গেল। আর এখন সালাফী সম্প্রদায় কুরআন-হাদীস নিজে পড়ে বদ আকীদা বদ দ্বীন লা-মাযহাবী আহলে হাদীস ও সালাফী হচ্ছে।
কুরআন এবং হাদীসকে নিজে নিজেই পড়ে সলফ এবং খলফ থেকে বিমুখ হয়ে গোমরাহী ও পথভ্রষ্টতার পুরো ধারা আর গায়রে মুকারিদ ও আহলে হাদীস ও সালাফীরাও এ সিলসিলার একটি কড়ি, যা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের পরিপন্থী।