ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহঃ এর জীবনী

ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল


  • ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহঃ এর পুরা নাম
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল আশশায়বানী আল বাগদাদী (রহ.)

  • ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহঃ এর নাম ও বংশ পরিচয়
ইমাম আহমদ বিন হাম্বলের (রহ.) বংশতালিকা এরূপঃ ইমাম আবু আব্দিল্লাহ আহমদ বিন মুহাম্মদ হাম্বল বিন হেলাল বিন আসাদ বিন ইদ্রীস বিন আব্দিল্লাহ বিন হাইয়ান বিন আব্দিল্লাহ বিন আনাস বিন আউফ বিন কাসেত বিন মাযেন বিন শায়বানী বিন যাহল বিন ছালাবা আশশায়বানী আল মারওয়াযী আল বাগদাদী (রহ.)। ১৪ হিজরীতে হযরত উমর (রা.)-এর নির্দেশ এবং পরামর্শে বছরায় বসতি স্থাপন করা হয়। এখানে আরবের বিভিন্ন গোত্র বাস করতে থাকে। এদের মধ্যে বনী শায়বান বিন যহলের একটি শাখা বনু মাযেনও ছিল। এ উপগোত্রের সাথেই ইমাম আহমদ বিন হাম্বলের গোত্রীয় সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বছরায় যান তখন তাদের গোত্রীয় মসজিদেই অধিকাংশ সময় নামায আদায় করতেন।


আব্দুল্লাহ বিন রুমী বলেন, আমি বছরায় অধিকাংশ সময়েই দেখতাম যে, ইমাম আহমদ বিন হাম্বল বনী মাযেনের মসজিদে আসতেন এবং নামায আদায় করতেন। একবার আমি তাঁকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, এটা আমার পূর্বপুরুষদের মসজিদ।


খোরাসান বিজয়ের পর সেখানকার মারভ শহরে যখন অনেক আরব গোত্র বসতি স্থাপন করে এবং সেখানে তাদেরকে অনেক জায়গীর এবং যমীন দেয়া হয়। তখন ইমাম সাহেবের পরিবারও মারভ শহরে বসতি স্থাপন করে সেখানে বসবাস করতে থাকে।


আবু যুরআ রাযী বলেন, আহমদ বিন হাম্বল মূলতঃ বছরার। মারভে তার জমি এবং বাড়ী ছিল । ইমাম সাহেবের দাদা হাম্বল বিন হেলাল 'সরখসের আমীর এবং হাকেম বা শাসক ছিলেন। তৎকালীন রাজনীতিতে তাঁর যথেষ্ট ভূমিকা ছিল। একবার বোখারার আমীর মুসাইয়্যের বিন যুহাইর তাঁকে এবং আবুন্নাজম ইসহাক বিন ঈসা সাদীকে শাস্তি দেন। কারণ তারা ষড়যন্ত্র করে সৈন্যদের মধ্যে ফেৎনা সৃষ্টি করে দিয়েছিল।


ইমাম সাহেবের মাতাও বনী শাইবান গোত্রের। তার নাম ছফিয়্যা বিনতে মায়মুন বিনতে আব্দিল মালেক শায়বানী। তার নানা আব্দুল মালেক বিন সওয়াদা বিন হিন্দু শাইবানী গোত্রের সম্মানী এবং মর্যাদাশীল ব্যক্তি ছিলেন। মারতে তাদের নিকট আরবের গোত্র আসত। তিনি তাদেরকে দাওয়াত করতেন এবং মেহমানদারী করতেন। ইমাম সাহেবের পিতা তার ওখানে থাকতেন । পরে তার কন্যাকে বিবাহ করেন।


তার সম্পর্কে কিভাবে 'জুনদী' বা সৈন্য এবং কায়েদ বা নেতা উল্লেখ রয়েছে। এতে বুঝা যায় তিনি কোথাও কোন সেনাদলের অধিনায়ক ছিলেন।


  • ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহঃ এর জন্ম এবং বাল্যকাল
ইমাম সাহেবের পিতা কোন কারণে ১৬৪ হিজরীতে মারম্ভ ত্যাগ করে বাগদাদ চলে যান। তখন ইমাম সাহেব মাতৃগর্ভে ছিলেন। ১৬৪ হিজরীতে রবীউল আউয়াল মাসে তর জন্ম লাভ করেন। বাগদাদ আগমনের কিছুদিন পরই তাঁর পিতা ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে পিতার বয়স ছিল ৩০ বৎসর। ইমাম সাহেব তখন ছোট শিশু ছিলেন। তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে দেখিনি, দাদাকেও দেখিনি। আমার মা আমাকে লালন পালন করেছেন।
তার মা তার এ পিতৃহীন শিশুকে অতি যত্ন সহকারে আদর-স্নেহ দিয়ে শিক্ষা-দীক্ষা দেন। বালকও তার মার প্রতি খুবই সম্মান দেখিয়ে চলত। ১৮৬ হিজরীতে দজলা নদীতে ভয়াবহ বন্যা হয়। তখন ইমাম সাহেবের বয়স বাইশ বৎসর। এ সময় 'রায়' এর মুহাদ্দিছ জরীর বিন আব্দিল্লাহ বাগদাদ আগমন করেন। ইমাম সাহেবের সঙ্গী হাদীস রেওয়ায়েতের জন্য এ অবস্থাতেও তার নিকট গেলেন। কিন্তু ইমাম সাহেব যেতে পারেননি। কারণ তার মা তাকে অনুমতি দেননি। তদ্রূপ ভোরের অন্ধকারে ইমাম সাহেব কোন মুহাদ্দিছের কাছে যেতে চাইলে তার মা তাকে অধিক স্নেহের কারণে যেতে দিতেন না। তিনি স্বয়ং বলেন

অনেক সময় আমি অতি ভোরে হাদীস পড়তে যেতে চাইতাম। কিন্তু আমার মা আমার কাপড় ধরে বলতেন, ভোর হতে দাও। অনেক সময় আমি অতি ভোরে আবু বকর বিন আইয়াম এবং অন্যান্যদের শিক্ষা মজলিসে উপস্থিত হতাম।'

এ বর্ণনা থেকে বুঝা যায় ইমাম সাহেবের মা দীর্ঘদিন বেঁচে ছিলেন এবং আপন ছেলেকে অতি আদর যত্নে ইলম শিক্ষা দিয়েছেন এবং লালন-পালন করেছেন।


  • ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহঃ এর যৌবনকালে প্রসিদ্ধি

যৌবনকালেই ইমাম সাহেবের জ্ঞানের প্রসিদ্ধি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল । তাঁর বন্ধু-বান্দব, সমসাময়িকগণ এবং উলামা ও মাশায়েখগণ তাঁর ব্যাপারে আশাবাদী ছিলেন। তাঁর জ্ঞান, মর্যাদা, যুহদ এবং তাকওয়া সবার নিকট স্বীকৃত ছিল। কুতাইবা বিন সায়ীদ বর্ণনা করেন,
আমাদের যমানার সবচেয়ে বড় আলেম হচ্ছেন ইবনুল মুবারক। এরপর এই যুবকটি তথা আহমদ বিন হাম্বল ।

একবার আবু মুসহিরকে জিজ্ঞেস করা হল, আপনার দৃষ্টিতে কি এমন কোন ব্যক্তি আছেন যিনি ধর্মীয় বিষয়গুলো হিফাযত করতে সক্ষম? তিনি জবাব দিলেন
পূর্ব বাগদাদের এক যুবক অর্থাৎ আহমদ বিন হাম্বল ছাড়া আর কাউকে একাজে পারদর্শী দেখছি না।

শেষবারের মত যখন ১৯৮ হিজরীতে ইমাম শাফেয়ী (রহ.) বাগদাদ গমন করেন, তখন ইমাম আহমদ বিন হাম্বলের (রহ.) বয়স ছিল চৌত্রিশ বৎসর। ইমাম শাফেয়ী সেখানে কয়েকমাস অবস্থান করে যখন মিশর গমন করেন, তখন ইমাম আহমদ বিন হাম্বল সম্পর্কে বলেছিলেন, বাগদাদে আমি ইমাম আহমদ বিন হাম্বল অপেক্ষা বড় ফকীহ, যাহেদ কিংবা আলেম কাউকে রেখে আসিনি।


শুকী বিন জাররাহ এবং হাফছ বিন গিয়াস বলতেন,
এ যুবক অর্থাৎ আহমদ বিন হাম্বলের মত কোন আলেম কুফায় দেখিনি । এ সৎ ও নেককার যুবক সবার দৃষ্টিতে একজন বরণীয় আলেম হওয়া সত্ত্বেও নবুওয়াতের বয়স অর্থাৎ চল্লিশ বৎসর পূর্ণ হওয়ার পূর্বে শিক্ষা মজলিস কায়েম করেননি। আর যখন কায়েম করলেন তখন ইলমের জগৎ ছোট হয়ে তাঁর মজলিসে জড়ো হতে লাগল।


  • ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহঃ এর জীবিকা নির্বাহ
উত্তরাধিকার সূত্রে ইমাম সাহেব তাঁর পিতা থেকে একটি বাড়ী এবং একটি কাপড় তৈরির কারখানা পান। তিনি সে বাড়ীতে বাস করতেন এবং কারখানা ভাড়া দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। বাড়ীর সামনে প্রশস্ত মাঠ ছিল। মাঠের উৎপাদিত ফসলে পূর্ণ বছরের খাবারের ব্যবস্থা হয়ে যেত। তা থেকে হযরত উমরের নির্ধারিত 'উশর' ইত্যাদি আদায় করতেন।


একবার কেউ তাকে তাঁর বাড়ী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, এটা আমি পিতা থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে লাভ করেছি। কেউ যদি স্বপ্রমাণ এ বাড়ীর দাবী করে আমি তাকে তা দিয়ে দিব।


ইদ্রীস হাদ্দাদ বলেন, ইমাম সাহেবের মহল্লায় তাঁতীদের বসতি ছিল। দারিদ্রতার সময়ে তিনি সেখানে কাজ করতেন।


  • ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহঃ এর সন্তান-সন্ততি
ইমাম সাহেব চল্লিশ বৎসর বয়সে বিবাহ করেন। তাঁর এক স্ত্রীর নাম আয়েশা বিনতে ফযল। তার ঘরে পূত্র সালেহ জন্মলাভ করেন। তার ইন্তেকালের পর দ্বিতীয় স্ত্রী রায়হানাকে বিবাহ করেন। তার একটি চক্ষু ক্ষত ছিল। তার ঘরে পুত্র আব্দুল্লাহ জন্মগ্রহণ করেন। ইমাম সাহেব এক বাঁদী ক্রয় করেন। তার নাম ছিল হুসন। তার ঘরে সাহেবজাদী যয়নাব জন্মগ্রহণ করেন। সে ঘরে হাসান হুসাইন নামে দু'জময় সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। কিছুদিন পরেই তারা মারা যান। এরপর হাসান, মুহাম্মদ এবং সায়ীদ জন্মলাভ করেন ।


পুত্র সালেহ সবার বড় ছিলেন। ২০৩ হিজরীতে জন্মলাভ করেন। ছোটকালেই পরিবারের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব তার উপর ন্যস্ত হয়। ইমাম সাহেব ব্যতীতও তিনি আরও কয়েকজন মুহাদ্দিছ থেকে হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি ইস্পাহানের কাযী ছিলেন। সেখানেই ২৬৫ হিজরীর রমযান মাসে মৃত্যুবরণ করেন। তার পুত্র যুহাইর ৩০৩ হিজরীতে এবং অপর এক পুত্র আবু জাফর মুহাম্মদ ৩৩০ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন।


ইমাম সাহেবের দ্বিতীয় পুত্র আব্দুল্লাহ তার পিতা থেকে সর্বাধিক হাদীস বর্ণনা করেন। তার অধিকাংশ কিতাব শ্রবণ করেছেন। ২৯০ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন। তৃতীয় পুত্র ইমাম সাহেবের ইন্তেকালের দু'মাস পূর্বে জন্মলাভ করেন । তিনি কুফার কাযী বা বিচারক ছিলেন ।


তাঁর অপর দুই পুত্র হাসান এবং মুহাম্মদ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছুই জানা যায়নি।

ঔরসজাত সন্তান ছাড়াও তাঁর অনেক রূহানী সন্তান ছিলেন। তাদের মাধ্যমে তাঁর ইলম সারা বিশ্বে বিস্তার লাভ করে।


  • ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহঃ এর ইন্তেকাল
ইমাম সাহেব ২৪১ হিজরীর বারই রবীউল আউয়াল মৃত্যুবরণ করেন। ২রা রবীউল আউয়াল বুধবার রাত থেকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। নয়দিন তিনি অসুস্থ ছিলেন। ঐ সময় দলে দলে মানুষ তাঁকে সালাম করার জন্য এবং তাঁর অবস্থা জানার জন্য আগমন করত। তাঁর অসুস্থতার সংবাদ যতই ছড়াতে লাগল, দর্শনার্থীদের সংখ্যা ততই বৃদ্ধি পেতে লাগল। অলি-গলি এবং মসজিদে মানুষের ভিড় হতে লাগল। এমনকি সরকার দরজায় এবং গলিতে পাহারাদার বসাতে বাধ্য হল। বাগদাদের আমীর ইবনে তাহের ইমাম সাহেবের নিকট সালাম পাঠিয়ে তাঁর সাক্ষাতের অনুমতি চাইলে তিনি বললেন, আমি তা পছন্দ করি না। আমীরুল মুমেনীনও এ বিষয়ে আমাকে ক্ষমা করেছেন। বনু হাশেম গোত্রের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ আসলে তাদেরকে ভিতরে আসার অনুমতি নিতেন আধীদের একদল আসলে তাদের অনুমতি দেয়া হয়নি। তখন জনৈক বুযুর্গ বললেন, আবু আব্দিল্লাহ! আল্লাহর সামনে হাযির হবার কথা স্বরণ কর। এ কথা শুনে ইমাম সাহেব কাঁদতে লাগলেন ।


ইন্তেকালের একদিন কিংবা দুদিন পূর্বে ক্ষীণকণ্ঠে বললেন, বাচ্চাদেরকে আমার সামনে আন। বাচ্চাদের একজন একজন করে ইমাম সাহেবের সামনে আসত। ইমাম সাহেব তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতেন। ঐ সময় তাঁর অশ্রু বয়ে পড়ছিল।


ইমাম সাহেবের পুত্র হযরত ছালেহ বলেন,আমার পিতাকে কোন কিছু খাওয়ার ইচ্ছা আছে কি না জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি চিরকালের মতই অনাসক্তি প্রকাশ করলেন।


হযরত সালেহ ও আদুল্লাহ বলেন, ইমাম সাহেবের জীবনসায়া ঘনিয়ে এসেছে। পরকালের দিকে প্রস্থান করছেন। এমতাবস্থায় তিনি বলে উঠলেন, দূর হও, দূর হও। মানুষ জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কাকে দূর হতে বলছেন? তিনি বললেন, ঘরের কোণে ইবলিস বসে আছে। মনে দুঃখে সে নিজের আঙ্গুল কামড়াচ্ছে। সে আমাকে বলছে, আহমদ ক্ষণিকের জন্য তুমি আমার দিকে খেয়াল কর। আমি বললাম, আমি তোমার কথায় কর্ণপাত করতে মোটেই রাজী নই। যে পর্যন্ত আমার রূহ ঈমান সহকারে দেহ হতে বের না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আমি তোমার ব্যাপারে অসতর্ক থাকব না।


এরপর ইমাম সাহেব বললেন, আমাকে অযু করাও। অজুর সময় বললেন, দেহের অমুক অমুক অংশ অতি উত্তমরূপে ধৌত কর। আবার বললেন, পায়ের অঙ্গুলিসমূহ খেলাল কর। ঐ মুহূর্তে তিনি অবিরাম আল্লাহর যিকিরে মশগুল ছিলেন। এরপরই তিনি ইন্তেকাল করেন।


তার ইন্তিকালের পর খলীফার প্রতিনিধি মুহাম্মদ বিন আব্দিল্লাহ বিন যাহের কয়েকজন গোলামসহ কাফন নিয়ে এলেন। ইমাম সাহেবের পরিবারস্থ লোকজনকে বললেন, এগুলো ইমাম খলীফার পক্ষ হতে এনেছি। তিনি যদি বাগদাদে থাকতেন তবে তিনি নিজেই এখানে উপস্থিত হতেন।


ইমাম সাহেবের পুত্র জানিয়ে দিলেন যে, ইমাম সাহেবের জীবদ্দশায় আমীরুল মুমিনীন তাঁকে অনেক কষ্ট দিয়েছেন। তিনি কখনো সেকথা ভুলতে পারেন নাই। এমতাবস্থায় খলীফার প্রদত্ত কাফন ব্যবহার করা আমি সমীচীন মনে করি না।


নাবালেগ শিশুদের বুনা কাপড় দ্বারা ইমাম সাহেবের কাফন দেওয়া হল । গোসল দেওয়ার প্রত্যেকটি বস্তু ক্রয় করে নেয়া হয়েছিল। এমনকি পানি পর্যন্ত ক্রয় করে নেয়া হয়েছিল। ইমাম সাহেবের পুত্ররা সরকারী চাকুরী করতেন বিধায় তিনি তাদের ঘরের আহার্যও গ্রহণ করতেন না। তাই তাঁর ইন্তেকালের পর তাদের ঘরের পানিও ব্যবহার করা হয় নাই।


চৌ পায়ার নীচে তশতরীতে রক্ত ভরা ছিল। প্রস্রাবের নাম গন্ধও ছিল না। চিকিৎসক বললেন, চিন্তা-ভাবনার কারণে এরূপ হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিন অসুস্থতা বেড়ে গেল। রাত্রে আরও বৃদ্ধি পেল। শুক্রবার সকালে তিনি ইহধাম ত্যাগ করেন। সারা বাগদাদে কান্নার রোল পড়ে গেল। জুমার নামাযের পর জানাযা বের করা হল। জানাযার নামাযে অস্বাভাবিক ভীড় হল। মাঠ ছাড়াও ১. মানুষ দজলা নদীতে নৌকায় দাঁড়িয়ে অলিতে গলিতে বাজারে জানাযা পড়েছেন। আশে পাশে যারা ছিল তাদের বাদ দিয়ে আনুমানিক ছয় লক্ষাধিক লোক জানাযায় শরীক হয়েছিল।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url