ফিকহবিদ সাহাবীগণের বর্ণনা।

ফিকহবিদ সাহাবীগণের বর্ণনা


রাসূল (স.)-এর ইন্তেকালের পর এবং ওহীর দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর শরীয়তের মাসায়েল ও দ্বীন সম্পর্কিত বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের পরে সাহাবায়ে কেরামই ছিলেন প্রাণকেন্দ্র। এ বিষয়ে ঐসকল সাহাবীর অভিমত ও পরামর্শ গৃহীত হত যাঁরা ছিলেন ইলম ও জ্ঞানের জগতে প্রসিদ্ধ ও গ্রহণযোগ্য ।

সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে তাঁরাই শরয়ী মাসায়েলের ব্যাপারে গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হতেন, যাঁরা কোরআন সম্পর্কে সম্যক জ্ঞানী ছিলেন। আর যারা রাসূল (স.)-এর নিকট থেকে কোরআন শিখেছেন এবং এর মর্মার্থ বুঝেছেন এবং রহিত ও অরহিত আয়াত সম্বন্ধে অবগত ছিলেন, তাঁরাই কুররা নামে ভূষিত হন । এ উপাধিটি আলেম ও গায়ের আলেমকে পার্থক্য করে দিত। সে সময় যাঁরা ফতোয়া প্রদান করতেন তাঁদের সংখ্যা প্রায় একশত ত্রিশজন ছিল। এঁদের মধ্যে কিছু ছিলেন পুরুষ এবং কিছু ছিলেন মহিলা সাহাবী।

এদের মধ্যে সাতজনের ফতোয়া ছিল অধিক পরিমাণে, তারা হচ্ছেন।


১. হযরত ওমর বিন খাত্তাব (রা.)
২. হযরত আলী (রা.)
৩. হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ (রা.)
৪. হযরত আয়েশা (রা.)
৫. হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.)
৬. হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রা.)
৭. হযরত ছাবেত (রা.)।
এঁদের ফতোয়া এত অধিক ছিল যে, যদি সেগুলো একত্র করা হয় তাহলে বিরাট কিতাবে পরিণত হয়ে যাবে।

আর ফতোয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় পর্যায়ে তেরজন সাহাবী ছিলেন। এরা হচ্ছেন


১. হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রা.)
২. হযরত উম্মে সালামা (রা.)
৩. হযরত আনাস (রা.)
৪. হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.)
৫. হযরত আবু হোরায়রা (রা.)
৬. হযরত উসমান (রা.)
৭. হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর (রা.)
৮. হযরত আব্দুল্লাহ বিন যুবায়ের (রা.)
৯. হযরত আবু মূসা আশয়ারী (রা.)
১০. হযরত সাদ বিন আবী ওয়াক্কাস (রা.)
১১. হযরত সালমান ফারসী (রা.)
১২. হযরত জাবের (রা.)
১৩. হযরত মুয়ায (রা.)।
এঁদের ফতোয়াও যদি একত্র করা হয় তাহলেও ছোট ছোট কিভাবে পরিণত হয়ে যাবে। হযরত আব্দুর রহমান বিন মাসউদ (রা.) হযরত তালহা (রা.) হযরত যুবায়ের (রা.) প্রমুখও এই দ্বিতীয় স্তরের অন্তর্ভুক্ত। এঁদের ছাড়া আরো অনেক সাহাবা (রা.) ফতোয়া প্রদান করতেন তবে তাঁদের ফতোয়ার সংখ্যা ছিল তুলনামূলক কম।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url