ইসলাম বিদ্বেসী সম্প্রদায়ের সাথে ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)-র ভূমিকা কি ছিলো?

ইসলাম বিদ্বেসী সম্প্রদায়ের সাথে মুকাবিলা।

ইমাম আবু হানীফা (রহ.) অত্যন্ত মেধাবী, তীক্ষ্ণবুদ্ধি এবং অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব ছিলেন। যৌবনকাল তিনি আনন্দের সাথে নিশ্চিন্ত মনে অতিক্রান্ত করছিলেন। তখন একদিকে ফিকহবিদ ও মুহাদ্দিছীনগণ স্বীয় দ্বীনি এবং ইলমী হালকায় হাদীস বর্ণানা এবং মাসয়ালা গবেষণায় ব্যস্ত ছিলেন। অপরদিকে অনারবদের সাথে মিশার কারণে বাতিল সম্প্রদায়গুলো ইসলামী আকীদা বিশ্বাস এবং চিন্তাধারার বিপরীত মুনাযারায় লেগেছিল। দুর্বল মুসলমানদের গোমরাহ সম্প্রদায়ের মধ্যে যেমন জামিয়া, কাদরিয়া, জবরিয়া, খাওয়ারিজ, রাওয়াফিয প্রভৃতি দলে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। এর সাথে সাথে মাজুসিয়্যাত, ছানুবিয়্যাত সমুমানিয়্যাত, ইলহাদ, বাতিল চিন্তাধারার জাল বিস্তার করছিল। উলামায়ে ইসলাম' ইলমে কালামের অস্ত্র দ্বারা এদের মুকাবিলা করেন।


ইমাম আবু হানিফা ছিলেন এঁদের মধ্যেই একজন। যৌবনকালে তিনি এ ময়দানে পদার্পণ করেন এবং খোদা প্রদত্ত মেধা, তীক্ষ্ণবুদ্ধি এবং চিন্তাশক্তি দ্বারা ইসলামী আকায়েদ এবং ইসলামী শিক্ষার সঠিক ব্যাখ্যা দিয়ে যিন্দিক এবং মুলহিদদেরকে পরাভূত করেদেন। এমনকি এ ব্যাপারে ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর খ্যাতি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। তিনি স্বয়ং বর্ণনা করেন, প্রথম জীবনে আমি বহছ-মুনাযারায় ব্যস্ত থাকতাম। ঐ সময়ে বসরা ছিল বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বহছ-মুনাযারার কেন্দ্রবিন্দু। তাদের সথে বহছ করার জন্য বিশবারের অধিক আমাকে সেখানে আসা-যাওয়া করতে হয়েছে। কখনও এক বৎসর আবার কখনও এর কম সময় সেখানে অবস্থান করে খাওয়ারিজ হাশরিয়াদের সাথে বহস মুনাযারা করতাম। ঐ সময়ে ইলমে কালাম আমার নিকট সবচেয়ে উত্তম ইলম ছিল । এ' ধারনা করতাম যে, এটাই দ্বীনের ভিত্তি। এর দ্বারা দ্বীনের অনেক বড় খিদমত করা সম্ভব।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url