কুফরী কথা, বলার ফলে মানুষ চিরদিনের তরে জাহান্নামী হয়ে যায়, কখনো সে এর থেকে নিস্তার পাবে না।
কুফরী কথা
যবানের সাথে সম্পর্কিত কবীরা গোনাহ সমূহের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক গোনাহ হলো 'কুফরী কথা' বলা। কেননা এর ফলে 'মানুষ চিরদিনের তরে জাহান্নামী হয়ে যায়। কখনো সে এর থেকে নিস্তার পাবে না'। ফিকাহ ও আকায়েদ শাস্ত্রের বিভিন্ন গ্রন্থে এ সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা লিপিবদ্ধ আছে। ক্ষুদ্র পরিসর এ কিতাবে তা বিশদ ভাবে আলোকপাত করা সম্ভব নয়। তাই মৌলিক নীতিরূপে কতিপয় মাসআলা উল্লেখ করা হলো।
মাসআলাঃ যে সমস্ত কথার দ্বারা আল্লাহ পাকের সহিত বে-আদবী প্রকাশ পায় বা তার গুণাবলী ও কামালিয়াত এর অস্বীকার, অথবা তার প্রতি কোন দোষ ত্রুটির সম্বন্ধ বুঝায় এ জাতীয় কথা সম্পূর্ণ কুফরী।
মাসআলা : যে সমস্ত কথায় আল্লাহ পাকের সাথে অন্য কোন জাতির দেবতা বা ইশ্বরকে তার সমকক্ষ স্থাপন করা বুঝায়; চাই তা যে কোন ধরনের গুণাবলী বা কাজ সম্পর্কীয়, হোক নিঃসন্দেহে তা কুফরী। কোন কোন ফকীর শ্রেণীর মানুষ এমন বলে আল্লাহর ওয়াস্তে হুসায়ন (রাঃ) তোমাকে পুত্র সন্তান দান করুন, বা রুজী প্রদান করুন, বা তোমাকে সুখী রাখুন ; এজাতীয় সমস্ত কথা কুফরী। কেননা, পুত্র দেয়া, রুজী দেয়া, সুখী রাখা প্রভৃতি সবই আল্লাহর অধীনে। এসব কাজে বান্দার কোন ক্ষমতাও অধিকার নেই ।
মাসআলা : যে সব কথার দ্বারা রাসূলে করীম (সাঃ) এর বে-আদবী বা অসম্মান বুঝায় তা নিঃসন্দেহে কুফরী। উলামায়ে কেরামের মতে সে তওবা করলে ও তাকে কতল করা ওয়াজিব। কেননা তার শরীয়তের সাজা (বা হৃদ)ই হলো কতল ।
মাসআলা : যে কোন নবী-রাসূলের বে-আদবী করা কুফরী। অধিকাংশ কবিও প্রবন্ধকার কে এ রোগে আক্রান্ত দেখা যায়। (বস্তুতঃ এটা অত্যন্ত দুঃখনীয় বিষয়।) নির্দ্বিধায় তারা হযরত মূসা ও ঈসা (আঃ) এর প্রসঙ্গ কলমের মাথায় আনে এবং বে-আদবী মূলক লেখনী লিখতে তারা কোন সংকোচ বোধ করেনা। অথচ নিশ্চিত রূপে তা কুফরী। কবিতা বা শে'র এর ক্ষেত্রে এরূপ লেখা বৈধ হওয়ার কোন ছলনা গ্রহণযোগ্য নয়। যেমন পূর্বে আলোচিত হয়েছে। কাযী আয়ায (রঃ) এর 'শেফা' নামক কিতাবে এ বিষয়টি স্পষ্ট রূপে বর্ণিত আছে।
মাসআলা : নবী রাসূলগণ (সাঃ) কার্য ব্যবস্থাপনা বা মানুষকে প্রদর্শন কল্পে কোন কোন ক্ষেত্রে মিথ্যের আশ্রয় নিয়েছেন এ জাতীয় উক্তি করা ও নিশ্চিত কুফরী।