আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন, একমাত্র তারাই মিথ্যা অপবাদ লাগায় যারা বে-ঈমান, মিথ্যা বলার শাস্তি।
মিথ্যা কথা বলা
আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন
إنما يفترى الكذب الذين لا يؤمنون -
অর্থ : একমাত্র তারাই মিথ্যা অপবাদ লাগায় যারা বে-ঈমান।
ইমাম আহমদ ও বায়হাকী (রঃ) রেওয়ায়েত করেছেন যে, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ফরমায়েছেন- আমানতের খিয়ানত ও মিথ্যা ছাড়া সমস্ত খাছলাতই মুসলমানের অভ্যাস হতে পারে।
বুখারী ও মুসলিমের এক হাদীসে আছে, রাসূলে করীম (সাঃ) ফরমায়েছেন- তোমরা সত্যকে কঠোর রূপে ধারণ কর। কেননা সত্য নিঃসন্দেহে সততার পথ প্রদর্শন করে। আর সততা মানুষকে বেহেশতে পৌঁছে দেয়। যে সকল মানুষ সদা সত্য কথা বলে ও সত্যের সন্ধানে থাকে। আল্লাহপাক তাকে সিদ্দীক রূপে লিপিবদ্ধ করে নেন। তোমরা মিথ্যা থেকে বিরত থাক। কেননা মিথ্যা অবশ্যই অন্যায়ের পথ প্রদর্শন করে। আর অন্যায় মানুষকে দোযখে নিপতিত করে। যারা সদা মিথ্যা কথা বলে এবং মিথ্যার চিন্তা করে, আল্লাহ পাকের দরবারেও তাকে মিথ্যুক রূপে লিখে নেয়া হয়।
(মেশকাত-হিফযুল লিসান অধ্যায়)
তিরমিযী শরীফের এক হাদীসে এসেছে, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেছেন- মানুষ যখন মিথ্যা কথা বলে তার মুখের দুর্গন্ধের কারণে রহমতের ফেরেশতা তার থেকে এক ক্রোশ (৩০০০ গজ দূরে সরে যায়। সহীহ বুখারীর এক দীর্ঘ হাদীসে স্বপ্নযোগে হযরত জিব্রাইল ও মিকাইল কর্তৃক মহানবী (সাঃ) এর জান্নাত জাহান্নাম ও অন্যান্য আশ্চর্যকর বিষয়াদি প্রদর্শনের ঘটনার মধ্যে উল্লেখ আছে যে, জনৈক উপবিষ্ট ব্যক্তির নিকটে অন্য এক ব্যক্তিকে লোহার আংড়া (কাটা বিশেষ বস্তু) নিয়ে দন্ডায়মান দেখলাম । উক্ত আংড়া দ্বারা সে ঐ ব্যক্তির চোয়াল ফেড়ে ঘাড় পর্যন্ত নিয়ে আসছে। অতঃপর সেটা ছেড়ে অপর চোয়ালকে ঐভাবে ঘাড় পর্যন্ত ফেড়ে ফেলছে। ইতিমধ্যে ঐ চোয়াল পূর্বের ন্যায় ভাল হয়ে যাচ্ছে। অতঃপর লোকটি সেটা ছেড়ে পুনরায় উক্ত চোয়াল ফাড়ছে। এভাবে একের পর চোয়াল ভাল হচ্ছে, আর সে তা ফেড়ে ফেলছে। তিনি জিজ্ঞেস করলেন
- এ লোকটি কে? আর কেনই বা তার এ শাস্তি? হযরত জিব্রাইল ও মিকাইল (আঃ) সর্বশেষে ঘটনার ব্যাখ্যাকালে বললেন- এ লোকটি ছিল মিথ্যাবাদী। দুনিয়াতে সে মিথ্যা কথা বলত। আর তার মিথ্যা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ত। এ কারণেই কিয়ামত অবধি তার এ শাস্তি ভোগ করতে হবে।