চলন্ত বাসে নামায আদায়, বাসে সফরে নামাযের বিধান, যানবাহনে কিবলার বিধান, চলন্ত বাসে নামায পড়ার নিয়ম।


বাসে সফরে নামাযের বিধান

বাসে সফরকালে ফরজ নামায পড়তে হলে বাস থেকে নেমে উপযুক্ত স্থানে নামায আদায় করবে। নামাযের সময় হলে বাস কর্তৃপক্ষকে নামাযের জন্য বাস থামাতে বলবে। তারপর বাস থেকে নেমে ফরজ নামায আদায় করবে।


চলন্ত বাসে নামায আদায়

চলন্ত বাসে দাঁড়িয়ে নামায পড়া অসম্ভব বটে, তাই এ ওজরের কারণে বসে যথারীতি রুকু-সিজদার মাধ্যমে নামায আদায় করতে পারবে। তবে প্রচন্ড ভিড়ের কারণে যদি বসেও রুকু সিজদার মাধ্যমে নামায পড়া সম্ভব না হয় তাহলে শেষ ওয়াক্তে ইশারায় নামায পড়বে। এবং পুনরায় সেই নামাযটি কাযা হিসেবে পড়ে নিবে ।

- ফাতাওয়া মাহমুদিয়া-১৪/২২৩, সমকালীন জরুরী মাসায়েল- পৃ: ৬৫

চলন্ত বাসে যদি ওযু না থাকে, আর পানিও না থাকে তাহলে ওযূ করার জন্য বাস থামাতে চেষ্টা করবে। যদি বাস না থামায়, তাহলে তায়াম্মুম করে নামায পড়ে নিতে হবে এবং পরে এ নামায কাযা হিসেবে আদায় করা ওয়াজিব।

-আল বাহরুর রায়েক ১/১৪২, তাহতাবী আলাদ্দুর-১/১২৬, সমকালীন জরুরী মাসায়েল-৬৫


যানবাহনে কিবলার বিধান

বাস ইত্যাদি যানবাহনে নামায পড়ার জন্যও কিবলামুখী হওয়া জরুরী। কিবলা ঠিক করে নামায আরম্ভ করবে। যদি নামাযে থাকাবস্থায় কিবলা ঘুরে যায়, তাহলে নামাযি ব্যক্তিও যেদিকে কিবলা রয়েছে, সে দিকে নামাযের ভিতরই নিজকে ঘুরিয়ে নিবে।

-কিতাবুল ইখতিয়ার-১/১০৪

যদি যানবাহন এমন ভাবে ঘুরে যে, নামাযরত ব্যক্তির জন্য কিবলামুখী হয়ে থাকা অসম্ভব, তাহলে যথাসম্ভব চেষ্টা করে নামায শেষ করবে। তাতেই নামায হয়ে যাবে।

-তাহতাবী আলাদদুর-১/১৯৮, কিতাবুল ইখতিয়ার লি তালিলিলমুখতার-১/১০৪

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url