বিশ্বের বিভিন্ন ধর্মে-দেশে ও ইসলামের পূর্বে আরবভূমিতে নারী জাতির প্রতি যে অমানুষিক ব্যবহার করা হয়েছিল, তা জানার পর আমাদের পক্ষে সঠিকভাবে এখন উপলব্ধি করা সম্ভব হবে ইসলাম তথা বিশ্বনবী (সাঃ) এবং তাঁর খলীফাগণ নারী জাতির মর্যাদা বৃদ্ধিতে কি অবদান রেখেছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইরশাদ করেছেনঃ "নারীগণের উপর তোমাদের যেরূপ অধিকার আছে, তোমাদের উপর নারীগণের অনুরূপ অধিকার আছে।”
ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা বিশ্বনবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) নারীজাতির মর্যাদা ও অধিকার দান সম্পর্কে ঘোষণা করেছেনঃ
১. নারী হচ্ছে পুরুষের অর্ধাংশ।
২. সন্তানের বেহেশত তার মায়ের পদতলে।
৩. পিতা-মাতার মধ্যে কাকে প্রথম সম্মান প্রদর্শন করবে, এই প্রসঙ্গে জনৈক সাহাবীর প্রশ্নের উত্তরে নবী করীম (সাঃ) ইরশাদ করেন- “প্রথমে তোমার মাকে। তারপরও তোমার মাকে, অতঃপর তোমার পিতাকে।” এইভাবে নবীজী মাতাকে পিতা অপেক্ষা তিনগুণ সম্মান দান করে বিশ্বের সকল নারীজাতির সম্মানকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে গেছেন।
৪. স্ত্রীলোকেরা পুরুষের যমজ অর্ধেক।
৫. এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ ধার্মিক নারী, বিশ্বনবী (সাঃ) ধাৰ্মিক পুরুষকে এই সম্মান দেননি যা নারীকে দিয়েছেন।
৬. আল্লাহর আদেশ- তোমরা তোমাদের নারীদের প্রতি উত্তম ব্যবহার করবে। কারণ, তারা তোমাদের মা, বোন, স্ত্রী ও কন্যা।
৭. নারীদের অধিকার পবিত্র, যাতে তাদের অধিকার খর্ব না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখো।
৮. সে-ই উত্তম ব্যক্তি, যে তার স্ত্রীর প্রতি উত্তম ব্যবহার করে।
৯. নারী প্রতিটি গৃহের রাণী স্বরূপ।
এভাবে ইসলামে আল্লাহ ও তার বাণী কোরআন এবং বিশ্বনবী ও তাঁর বাণী হাদীস-এ নারী-জাতিকে দুনিয়া হতে আখেরাত পর্যন্ত শ্রেষ্ঠ আসন দান করেছেন।
ইসলাম ঘোষণা করেছে তথা ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা নবী বলেছেনঃ
মানবীয় অধিকারে, সামাজিক অধিকারে নারী-পুরুষ উভয়ে সমান। একে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্বের অধিকার, পারিবারিক অধিকার ও শান্তি নির্ধারনে উভয়ই সমান।
এভাবে ইসলাম প্রায় দেড় হাজার বছর আগে শিশু কন্যাকে দিল বাঁচার অধিকার। যুবতীকে দিল স্বামী নির্বাচনের অধিকার, বিধবাকে দিল বাঁচার ও দ্বিতীয় বিবাহের অধিকার, গৃহিণীকে দিল স্বামীর ও পিতার পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে অংশের অধিকার। এক কথায় ইসলাম সকল ক্ষেত্রে নারীকে দিল পুরুষের সমান অধিকার।
ইসলাম,নারী