পর্দা কি প্রগতির অন্তরায়?


মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পুরষ এবং নারীকে দৈহিক গঠন, শারীরিক যোগ্যতা, ক্ষমতা, মানসিক অবস্থা ইত্যাদি বিবেচনায় স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন করেছেন এবং পরস্পরের জন্য পরিপূরক করেছেন। এই সমস্ত বিষয়ে নারী ও পুরুষের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য বিদ্যমান। সৃষ্টিগতভাবে নারী আড়ালের সৌন্দর্য, নারী লুকানো মহা মূল্যবান ঐশ্বর্য, নারী দূর্লভ চকমকি হিরে, নারী অন্তরস্থ ধ্বনি, নারী পবিত্রতার প্রতীক, শুদ্ধতার অপর রূপ । নারীর এই নারীত্ব রক্ষার দাবী নিজকে অভ্যন্তরে রাখা। লোক চক্ষুর বিষতুল্য দৃষ্টি থেকে লুকিয়ে রাখা । আর এর জন্যেই অত্যাবশ্যকীয় হলো পর্দা।


পর্দা কী?

পর্দা ও হিজাব শব্দ দুইটি বর্তমান বিশ্বের প্রায় সমস্ত মানুষের মুখে বহুল প্রচলিত একটি শব্দ। ফ্রান্স সহ বিভিন্ন দেশে বিগত কয়েক বছরে পর্দা নিয়ে কতই না ঘটনা ঘটে গেল। ফ্রান্স তাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করে সারা বিশ্বের সৃষ্টি আকর্ষণ করল। আজকে এই পর্দা নিয়ে কিছু কথা লেখার জন্য কলম ধরলাম। আসুন, আমরা পর্দা সম্বন্ধে জানতে চেষ্টা করি।

পর্দা একটি এমন বিষয় যা সঠিকভাবে পালন না করার কারণে সমাজে এমন বেহায়পনা শুরু হয়েছে যা বলতেও লজ্জা হচ্ছে। আল্লাহ তায়ালা তাঁর পবিত্র কুরআন শরীফে ঘোষণা করেন-


يا أيها النبي قل لأزواجك وبنادك ونساء المؤمنين يدنين عليهن من جلابيبهن

অর্থ: হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রী, কন্যা ও মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদর নিজেদের উপর টেনে নেয় বা ঝুলিয়ে দেয়।

-সূরা আহযাব : আয়াত ৫৯


একটু চিন্তা করে দেখুন, এর চেয়ে বড় আর কি নির্দেশ হতে পারে?

জিলবাব جلياب . جلابيب এর বহুবচন। জিলবাব ঐ চাদরকে বলা হয় যা নারীরা এমন ভাবে পরিধান করবে, মাথা থেকে পা পর্যন্ত তার সম্পূর্ণ শরীর যাতে ঢাকা থাকে । এছাড়া কুরআন মাজীদ শুধু মাত্র চাদর পরার নির্দেশ দেননি, বরং يدنين শব্দ ও যুক্ত করেছে, যার অর্থ উক্ত চাদর সম্মুখভাগে ঝুলিয়ে দিবে যাতে চেহারাও খোলা না থাকে এবং ঐ চাদরে ঢেকে যায়। এর চেয়ে অধিক স্পষ্ট বিধান আর কি হতে পারে?

ইবনে জারীর হযরত ইবনে আব্বাস (রা) থেকে ‘জিলবাব’ ব্যবহারের প্রকৃতি এই বর্ণনা করেছেন যে, নারীর মুখমন্ডল ও নাকসহ আপাদমস্তক এতে ঢাকা থাকবে এবং পথ দেখার জন্য কেবল একটি চক্ষু খোলা রাখবে।

হযরত উম্মে সালমা (রা) বর্ণনা করেন, যে আলোচ্য আয়াতটি নাজিল হওয়ার পর যখনই একান্ত প্রয়োজনে মুসলিম রমনীগণ ঘর থেকে বাইরে যেতেন, তখন তারা তাদের মাথা থেকে পা পর্যন্ত সর্বাঙ্গ এভাবে ঢেকে নিতেন যে, তাদের দুটি চোখ ব্যতীত আর কিছুই দেখা যেত না।

আবু দাউদ শরীফে বর্ণিত আছে যে, এক মহিলার পুত্র হুজুর (সা.)-এর সঙ্গে এক যুদ্ধে গিয়েছিল । যুদ্ধের পর সমস্ত মুসলমান ফিরে আসল কিন্তু তার পুত্র ফিরে আসল না । এমতাবস্থায় স্পষ্ট যে, ঐ মহিলা কি পরিমান অস্থির হতে পারে? সে এই অস্থির অবস্থায় হুজুর (সা.)-এর দরবারে তার পুত্রের অবস্থা জানার জন্য দৌড়ে গেল এবং হুজুর (সা.) নিকট জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা.) আমার ছেলের খবর কী ? সাহাবায়ে কেরাম উত্তর দিলেন, আপনার পুত্র আল্লাহর রাস্তায় শহীদ হয়ে গেছেন । পুত্রের মৃত্যুর সংবাদে তার উপর বজ্রপাত হল । এ অবস্থায় এক ব্যক্তি তাকে জিজ্ঞাসা করল, হে মহিলা! আপনি এই অস্থির অবস্থায় বাড়ি থেকে বের হয়ে হুজুর (সা.)-এর দরবারে আসলেন এই অবস্থায়ও আপনি চেহারার উপর ঘোমটা টেনে দিয়েছেন? এমতবস্থায় ও আপনি ঘোমটা দিতে ভুলেননি? ঐ মহিলা উত্তর দিল-

“আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু আমার লজ্জার তো মৃত্যু হয়নি, আমার ছেলে দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছে। কিন্তু আমার লজ্জা তো চলে যায়নি ।"

আবু দাউদ শরীফ


প্রিয় পাঠক,

একটু চিন্তা করে দেখুন!

এ অবস্থায়ও মহিলা পর্দার কত গুরুত্ব দিয়েছেন! আজকের পশ্চিমা বিশ্ব ইসলাম কর্তৃক নারীদের ওপর কঠোরতার প্রমান স্বরূপ পর্দা নিয়ে আপত্তি তুলে থাকে। অথচ শুধু ইসলাম ধর্মই নয় ইহুদী এবং খ্রিস্টান ধর্মেও পর্দার বিধান রয়েছে। বোরকা একজন মহিলার সার্বিক নিরাপত্তার গ্যারান্টি। চতুর্দিকে নারীকে উত্যক্ত করা, এসিড নিক্ষেপ, অশ্লীল ইঙ্গিত ইত্যাদি বেপর্দা থেকে উৎপত্তি। এ মুহুর্তে বোরকাবিরোধী নির্দেশনা ইভটিজিংকে উৎসাহিত করবে। সুতরাং নারীকে তার নিজের কল্যাণের স্বার্থেই বোরকা পরতে বাধ্য করা উচিত।


পর্দার উপকারিতা

ইসলামে যে পর্দার বিধান দেয়া হয়েছে, যে সম্পর্কে গভীর ভাবে চিন্তা করলে আমরা এর তিনটি উপকারিতা উপলব্ধি করতে পারি।

প্রথমত: এতে নারী ও পুরুষের নৈতিক চরিত্রের হিফাজত হয় এবং নর-নারীর অবাধ ও প্রতিবন্ধকতাহীন মেলামেশার পথ রুদ্ধ হয়।

দ্বিতীয়ত: নারী ও পুরুষের কর্মক্ষেত্র পৃথক হওয়ার দ্বারা প্রকৃতি নারীদের উপর যে গুরুদায়িত্ব ন্যস্ত করেছে, তা তারা নিবিঘ্নে ও সঠিকভাবে পালন করতে পারে।

তৃতীয়ত: পারিবারিক ব্যবস্থা সুরক্ষিত ও সুদৃঢ় হয়। কারণ পর্দার দ্বারা স্বামী স্ত্রীর মাঝে পরকিয়াবিহীন পবিত্র জীবন গঠন হয় এবং তাদের থেকে চরিত্রহীনতা ও অবিশ্বাস বিদায় নেয়। পক্ষান্তরে বেপর্দা থেকে পরকীয়া ও অপবিত্রতার জন্ম হয়। এর দ্বারা স্বামী স্ত্রীর জীবনে অবিশ্বাস ও অশান্তির সৃষ্টি হয়।


পর্দাহীনতার ক্ষতি

আজ বিশ্বব্যাপী চলছে আধুনিকতার সয়লাব, নব্য সভ্যতার সাইক্লোন আর পশ্চিমা সংস্কৃতির অবাধ প্রতিযোগিতা। ইসলামের নাম শুনলেই নাসিকা বক্র করা যেন এক ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। আর সহস্র বছরের ঐতিহ্যমন্ডিত মানব সভ্যতার মূলভিত্তি পারিবারিক রীতি-নীতির প্রতিটি গ্রন্থি ছিঁড়ে ফেলাই যেন নব্য সভ্যতার মূল ডাক এবং সে জন্যেই চাই বিনা যুক্তিতে মানব ও পশুর বিভেদটাকে মুছে ফেলা। পশুরা যখন নারী পুরুষের ভেদাভেদ করে না তখন আর আমরা করব কেন?

সভ্যতার এই মোড়কে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার জন্যে চাই ধর্মের নিদর্শনগুলো শরীর থেকে আলাদা করে ফেলা ।" জাতে ওঠার জন্যে প্রয়োজন ঘরে বসে থাকা নয়, রাস্তায় নেমে আসা” এসব সস্তা কথা ও স্লোগান অবশেষে আমাদেরকে কোথায় নিয়ে দাঁড় করিয়েছে আমরা কি ভেবে দেখেছি? আমরা কোন সভ্যতার রাজপথের দিকে যাচ্ছি না মূর্খতার কোন অন্ধ গলির দিকে এগুচ্ছি ক্রমশ?


পর্দাহীনতার ক্ষতি

হযরত আবু মুসা (রা) করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, সকল কুদৃষ্টিকারী দৃষ্টিই ব্যভিচারী । আর যে নারী গায়ে সুগন্ধি মেখে কোন মজলিসের পাশ দিয়ে যায় সেও ব্যভিচারী।

-তিরমিযী শরীফ


আমাদের বর্তমান সমাজে আধুনিকতা ও নব্য সংস্কৃতির নামে যে জীবন পদ্ধতি গড়ে ওঠেছে তার প্রতি যদি আমরা ঈমানী দৃষ্টিতে তাকাই তাহলে কি অস্বীকার করার জো আছে এসব মূলত সভ্যতা কিংবা সংস্কৃতির চর্চা নয়, বরং সর্বত্র চলছে ব্যভিচারের আয়োজন কিংবা তার প্রতিযোগিতা।

আঁটসাট পোশাক পরে যে নগ্ন সংস্কৃতির চর্চা করি হাদীসের ভাষায় সেটাকে তো সরাসরি ব্যভিচার বলা হয়েছে। আর সেই সাথে এমন সব ফ্যাশনের আবিস্কার হচ্ছে প্রতিদিন যার মূল লক্ষ্যই যেন দুটি।

১. পোশাকের উপর থেকেই শরীরের পরিপূর্ণ গঠন ও আকৃতি দৃশ্যমান হবে।
২. পোশাক এত হালকা ও সূক্ষ্ম হবে যাতে শরীরের বর্ণ ও সৌন্দর্যে আপ্লুত হতে কোন দর্শনার্থীর বেগ পেতে না হয়।
কিছু পথভ্রষ্ট মানুষ এই পশুভূষণে আবৃত হয়ে দ্রুত ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে একথা এখন থেকে চৌদ্দশ বছর আগেই হযরত রাসূল কারীম (সা.) বলে দিয়েছেন। হাদীস শরীফে আছে হযরত আবু হুরায়রা (রা) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন দুই শ্রেণির জাহান্নামীদেরকে আমি দেখিনি (কারণ, এখনো তাদের আগমন হয়নি, তাদের আগমন হবে আরও পরে)
১. এমন সম্প্রদায় যাদের হাতে ষাঁড়ের লেজুরের মত চাবুক থাকবে, আর সেই চাবুক দ্বারা তারা লোকদেরকে (অন্যায়ভাবে ) প্রহার করবে।
২. এমন নারী সম্প্রদায় যারা বস্ত্র পরিহিতা হয়েও নগ্ন থাকবে, তারা অন্যদেরকে নিজেদের প্রতি আকর্ষণ করবে, নিজেরাও আকৃষ্ট হবে অন্যদের প্রতি, তাদের মাথায় উটের পিঠের মত উঁচু ধরনের খোপা থাকবে। এরা বেহেশতে যাবে না, বেহেশতের গন্ধও পাবে না। অথচ বেহেশতের সুগন্ধি অনেক অনেক দূর থেকেও পাওয়া যাবে।

-মুসলিম শরীফ


পর্দাহীনতার দ্বারা পরিবারে অবিশ্বাস ও অশান্তি নেমে আসে তা পূর্বেই বলা হয়েছে। তেমনিভাবে বেপর্দেগীর দ্বারা পাশ্চাত্যের লাগামহীন জীবন ধারায় অভ্যস্ত হয়ে নারীরা তাদের দ্বীন ও ঈমান বরবাদ করে দেয় । লাগামহীন চলাফেরার ফলেই পাশ্চাত্যবাসীদের নৈতিক ও চারিত্রিক কাঠামো আজ চূড়ান্ত বিপর্যয়ের সম্মুখীন । তেমনি ভাবে বেপর্দার দ্বারা সমাজে ইভটিজিং জন্ম নেয় এবং যৌন সন্ত্রাস প্রকট আকার ধারণ করে। এর বাস্তবতা আজ আমাদের নখদর্পণে।


ইসলামে বোরকার বাধ্যবাধকতা

সংখ্যাগরিষ্ঠ এ মুসলমানের দেশের জন্য বোরকাবিরোধী বিধি বাঞ্চনীয় নয়। কেননা, পর্দা পালন করা মুসলমান নারীদের জন্য নামায-রোযার মত অলঙ্ঘনীয় ফরজ। এটা মুসলিম মেয়েদের জন্য ইসলাম বাধ্যতামূলক করেছে।


নারী নির্যাতন রোধে পর্দা-বোরকা জরুরী

নারীরা শিকার হচ্ছে ইভটিজিং, ধর্ষণ, অপহরণ, পাচার সহ নানামুখী নির্যাতনের । এজন্য শুধু পুরুষজাতকে দায়ী করা যায় না। নারীও এর জন্য দায়ী।

নারী তার সৌন্দর্যকে যেখানে সেখানে প্রদর্শন করলে রোগাদিল এবং বখাটে পুরুষরাতো লোভে পড়বেই। তাই সম অধিকারের নামে নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, নারীদের উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন, বেপর্দা চলাফেরা, অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা থেকে দূরে থাকা জরুরী । অন্যথায় শত আইন করেও নারী নির্যাতন, এসিড নিক্ষেপ, ইভটিজিং, নারীপাচার এসব বন্ধ করা যাবে না।

মেয়েদের জন্য বাইরে যেতে হিজাব, নিকাব ও বোরকা দ্বারা সমস্ত শরীর পর্দা করা ফরজে আইন। এর অন্যথা করা কবীরা গুনাহ।

আর এ পর্দা অবশ্যই সর্বত্র ও সবসময় করতে হবে। এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতেও নারীর পর্দা করা ফরজ। প্রত্যেক বালেগাকেই স্বেচ্ছায় পর্দা করতে হবে। নচেৎ আল্লাহর আজাবে তাকে এবং তার অভিভাবককে গ্রেফতার হতে হবে।


পর্দা কি প্রগতির অন্তরায় ?

পর্দার কথা বললেই প্রশ্ন ওঠে নারীদের কি স্বাধীনতা বলতে কিছুই থাকবে না? স্কুল, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করবে না কিংবা তারা কি রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরে দায়িত্ব পালন করবে না?
উত্তর হচ্ছে ‘হা’, অবশ্যই তাদের ন্যায় সঙ্গত স্বাধীনতা আছে এবং থাকবে । নারীরা তাদের নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখে কাজ কর্ম করবে, পড়াশুনা করবে, সমাজ গঠনে অবদান রাখবে এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরে দায়িত্ব পালন করবে। তবে, একটি শর্তে, তা হল পুরুষদের সাথে অবাধ মেলামেশা থেকে দূরে থাকবে। তারা স্কুল-কলেজ, ভার্সিটি ও অফিস-আদালতে দায়িত্ব পালন করবে পর্দার দিকে লক্ষ্য রেখে এবং পরপুরুষের সাথে অবাধ মেলামেশা থেকে দূরে থেকে । কেননা, সমাজে নারীরা যত ধরণের অত্যাচার, নির্যাতন, অপমান ও নিগৃহের শিকার হন তার আসল কারণটাই হল এই অভিশপ্ত অবাধ মেলামেশা।
ইসলাম চায় মহিলারা যেন সমাজে এবারে অপমানিতা, নিগৃহীতা ও লাঞ্চিতা না হয় আর সে জন্যই অবাধ মেলামেশায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে দিয়েছে ইসলাম । সারা বিশ্বের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাই যারা সাধারণত সঠিক ভাবে পর্দা করে চলাফেরা করেন সমাজে তারা সম্মানের আসনেই থাকেন। তাদেরকে সমাজে অত্যাচারিতা ও নির্যাতিতা হতে হয় না। তাদের কে মানুষ সমীহ করে থাকে।
প্রিয় পাঠক,
আপনি একবার ভেবে দেখুন! “আপনি মারা যাবার পর ঠিকই আপনাকে কাফন দিয়ে পর্দা করানো হবে, তাই সেই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা না করে এখনি পর্দা করা শুরু করুন, ফুলের মত পবিত্র থাকুন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url