সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কবলে আমাদের জাতীয় সংস্কৃতি।

সংস্কৃতি একটি জাতির মৌলিক উপাদান। একটি জাতির জীবন বোধ ও জীবনাচারের প্রতিচ্ছবি, প্রতিবিম্বিত রূপ সংস্কৃতির মাধ্যমে একটি জাতির জাতিসত্তা আলাদা ভাবে পরিস্ফুটিত হয়। কোন জাতির স্বকীয়তা, জাতীয়তা, সামাজিক এবং ধর্মীয় মূল্যবোধও তার সংস্কৃতি নির্ধারণ করে দেয়। উন্নতর জাতি গঠনে সংস্কৃতির ভূমিকা অনস্বীকার্য। জাতীয় জীবন সংস্কৃতিরই রূপায়ন। কোন জাতিকে নিয়ন্ত্রন করা বা তার ভাগ্য নিয়ন্ত্রন করার জন্য সব চাইতে সহজ পন্থা ও অবলম্বন হলো তার সংস্কৃতির উপর আঘাত হানা এবং তা নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেয়া। বক্ষমান নিবন্ধে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন এবং অপসংস্কৃতির কিছু চিত্র তুলে ধরা হবে। তার আগে আমরা জেনে নিব সংস্কৃতি এবং অপসংস্কৃতির পরিচয়।


সংস্কৃতির পরিচয়

সংস্কৃতি হলো কোন জাতির পরিশীলিত, পরিমার্জিত সুউন্নত, সুসজ্জিত, রুচিসমৃদ্ধ জীবন বোধ জীবনাচার। বিশিষ্ট আরব পন্ডিত আল্লামা রাগীব ইস্পাহানী সংস্কৃতির পরিচয় দিয়েছেন এভাবে যে, “সংস্কৃতি হচ্ছে মানসিকতার সঠিক ও পরিপূর্ণ সংশোধন, তবে তা এমন ভাবে যে সংস্কৃতিবান ব্যক্তির সত্তা হবে পরিপূর্ণতা ও অধিক গুণ বৈশিষ্ট্যের দর্পন। আর মন্দ ও অনিষ্টকর গুণকে সংশোধন করবে এবং বক্রতাকে সোজা করে দিবে”। এক কথায় কোন জাতির বিশ্বাস ও চিন্তা চেতনার বিশেষ গুণান্বিত আঙ্গিকের পরিশীলিত ব্যবহারিক বহিঃপ্রকাশকেই সংস্কৃতি বলা হয়।


অপস্কৃতির পরিচয়

অপসংস্কৃতি হলো কোন জাতির সাংস্কৃতিক স্বভাবের বিপরীত বা সাংস্কৃতিক আদর্শ বিরুদ্ধ অথবা কল্যাণকে পরাম্মুখ করে বা বিধ্বস্ত করে এমন যে কোন বিষয়। অন্যভাবে বলতে গেলে কোন জাতির জাতীয়, ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক বিশ্বাস, চেতনা মূল্যবোধ ও আদর্শের পরিপন্থী যা কিছু আয়োজন তার সবই অপসংস্কৃতি। আর এটা হতে পারে ধর্মের নামে অধর্মাচার। আধুনিকতার নামে বলগাহীন জীবনাচার। সভ্যতা ও সুশীল সমাজের নামে অবাধ জীবন লীলা। কিংবা পূণ্য বা সওয়াবের আশায় শিরক ও বিদয়াতের মধ্যে নিমগ্ন হওয়ার কসরত।

আমরা মুসলিম। দেশ হিসাবে বাংলাদেশী মুসলিম। ভাষা হিসাবে বাঙালী মুসলিম। আমাদের নিজস্ব একটা সংস্কৃতি আছে। আর তা হলো ইসলামী সংস্কৃতি। ইসলামী সংস্কৃতি হলো ইসলামী জীবন দর্শন ও জীবন বিধান অনুশীলনের মাধ্যমে মানুষের ব্যবহারিক জীবন ও পরিবেশে যে সংস্কৃতি প্রতিফলিত হয় তাই-ই ইসলামী সংস্কৃতি। আরো স্পষ্ট ভাবে বলতে গেলে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইসলামের মূল আকীদা বিশ্বাসের আলোকে যত নিয়ম-নীতি ও বিধি-বিধান পালন করতে হয় তার সবই ইসলামী সংস্কৃতির অংশ। তবে আমাদের জাতীয় সংস্কৃতি আজ বিজাতীয় এবং চরম বিকৃত সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের শিকারে পরিণত হয়েছে। আমাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক অঙ্গনকে একেবারে টালমাটাল করে দিয়েছে। আমাদের পরিছন্ন সংস্কৃতির অবয়বকে কালিমাময় ও কলুষিত করেছে। আমাদের সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে।

আমাদের সংস্কৃতি মূলত দুই ভাবে বিজাতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের শিকার হয়েছে। এক, হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি। দুই, পাশ্চাত্য সংস্কৃতি। প্রথমটার ক্ষেত্রে মাধ্যম হলো আমাদের দেশের তথাকথিত বুদ্ধিজীবি নামধারী একটি মহল। তারা বাঙালী জাতীয়তাবাদের নামে বিভিন্ন শিরকবাদী, পৌত্তলিকতাবাদী ও বর্ণবাদী সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত করার জন্য প্রানান্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারা এদেশের মুসলমানদেরকে তথাকথিত বাঙালী নামে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশী ও বাঙালী সংস্কৃতির মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে দ্বন্দ্ব বাধিয়ে দিয়ে মুসলিম সংস্কৃতি নির্মূল করতে উঠে পড়ে লেগেছে। যেন তারা আমাদের সমাজকে কলকাতার হিন্দুয়ানী ও পৌত্তলিক সংস্কৃতির নাগপাশে আবদ্ধ করতে বদ্ধপরিকর। তাদের এই দূরভিসন্ধি রাজনৈতিক ভাবে সফল না হলেও বিভিন্ন মাধ্যমে তা কার্যকর হতে চলেছে। কেননা বাংলাদেশের রাজ ধর্ম ইসলাম হওয়া সত্ত্বেও আজ আমাদের জাতীয় অনুষ্ঠানগুলো হিন্দুয়ানী সাংস্কৃতিক ধারায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠান উদ্ধোধন করা, শহীদ মিনারের পাদদেশে মোমবাতি জ্বালিয়ে বিজয় দিবস বা স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান ঘোষনা করা, মৃত ব্যাক্তির স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা বা কালো ব্যাজ ধারন করা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষনের নামে কিংবা ভাস্কর্য স্থাপনের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে মুর্তি প্রতিস্থাপন করা, শিখা অনির্বান বা শিখা চিরন্তন নামে অগ্নি প্রজ্জ্বলন করা, ২১ শে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে বা স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, বুদ্ধিজীবি হত্যা দিবস ও রাজনৈতিক নেতার মৃত্যু দিবস উপলক্ষে মাজারে পুস্পস্তবক অর্পন করা কিংবা জম্মদিনের উৎসবে মোমবাতি জালিয়ে কেক কাটা এবং নাচ গানের আয়োজন করা ইত্যাদি অপসংস্কৃতিগুলো তাদেরই মেহনত ও প্রচেষ্টার ফসল। এবং সবগুলোও বিজাতীয় সংস্কৃতি হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি। যে গুলোর অধিকাংশগুলোই শিরক ও বেদআত। যা কুফরী পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।

অপর দিকে স্বার্থান্বেষী আরেকটি গোষ্ঠী মডার্ণ ও আধুনিকতার মুখরোচক স্লোগান তুলে কিংবা হাই সোসাইটির মুখোশ পরিধান করে পাশ্চাত্য সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা করে যাচ্ছে। যাদের মধ্যে তথাকথিত কিছু উদারমনা লেখক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পী ও স্বঘোষিত বুদ্ধিজীবিও রয়েছে। পশ্চিমা ধ্যান ধারনায় তাদের মগজ ধোলাই হওয়ার পর বস্তুবাদী, ভোগবাদী ও নাস্তিক্যবাদী পশ্চিমা উগ্র নগ্ন সংস্কৃতিকে এদেশে চালু করার ঘৃণ্য প্রয়াসে লিপ্ত। মুসলিম সংস্কৃতিকে নির্মূল করার মানসে শিক্ষা ক্ষেত্রে ধর্মনিরপেক্ষতা, তাওহীদের পরিবর্তে নাস্তিক্যবাদী এবং মুসলমানদের পারিবারিক ও সামাজিক রীতি-নীতি, কৃষ্টি-কালচার, তাহযীব-তামাদ্দুন সহ ইসলামী সংস্কৃতির পরিবর্তে পশ্চিমা নগ্ন দানবীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়ায় নিরন্তন অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।

“সংস্কৃতির কোন দেশ নেই। কোন জাত নেই। সংস্কৃতি হলো অবাধ ও উম্মুক্ত” তারা এমনি সস্তা মুখরোচক স্লোগান তুলে বিজাতীয় বিকৃত সংস্কৃতির ব্যাপক আমদানী ও প্রচলনের জন্য সর্বাত্তক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, ফলে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ভয়াবহ সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের শিকারে পরিণত হয়েছে স্যাটেলাইট সংস্কৃতির মাধ্যমে। আকাশ সংস্কৃতির নামে বিজাতীয় সিনেমা,নাটক, নাচ, গান, মডেলিং, সুন্দরী প্রতিযোগিতা, নগ্নতা ও বেহায়াপনা সম্বলিত অভিনয় এবং বিজাতীয় ধ্যান ধারনা ও মূল্যবোধ সম্পর্কীত সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রচারের মাধ্যমে আমাদের অস্তিত্ব জাতিসত্ত্বা, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, তাহযীব-তামাদ্দুন, ঐতিহ্য বিশ্বাস ও মূল্যবোধ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে।

পশ্চিমারা তাদের সংস্কৃতিকে আমাদের মুসলিম সমাজে সুক্ষ্ম ও সুপরিকল্পিত ভাবে অনুপ্রবেশ করানোর প্রধান হাতিয়ার হিসাবে বেছে নিয়েছে মিডিয়া বা প্রচার মাধ্যমগুলোকে। মিডিয়ার কল্যাণে পশ্চিমাদের আগ্রাসী সংস্কৃতি আমাদের সমাজে বেশ ভালোভাবেই স্থান করে নিয়েছে উদাহরণ স্বরূপ কয়েকটি চিত্র তুলে ধরা হলো।


সুন্দরী প্রতিযোগিতা

সেখানে সুন্দরী নির্ধারণ করার পদ্ধতি হলো নিরাবরণ নারী দেহের উন্নতর গঠন ও আনুষাঙ্গিক প্রকাশ ভংগিমার প্রদর্শন।

ভ্যালেন্টাইন ডে বা বিশ্ব ভালবাসা দিবস

যেখানে তরুন তরুনী যুবক-যুবতী এবং নারী পুরুষ একে অপরকে ফুল আদান প্রদানের মাধ্যমে তথাকথিত ভালবাসা বিনিময় করে এবং তারা অবাধে ঘোরাফেরা বা মেলামেশা করে। কোন কোন ক্ষেত্রে অনৈতিক আচার আচরণ ও কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে।

মডেলিং ও ফ্যাশন শো

ফ্যাশন শো হলো ভয়ংকর পশ্চিমা আগাছা। যেখানে নারী পুরুষ বিশেষ করে নারীরা বিভিন্ন পোশাকে সজ্জিত হয়ে নিজেকে উপস্থাপন করে। কোন কোন ক্ষেত্রে অশালীণ ও আবেদনময়ী ঢংগেও নিজেকে মেলে ধরে।

ওল্ড হাউস বা বৃদ্ধ নিবাস

বৃদ্ধ পিতা মাতাকে নিজ সন্তান ও আত্নীয় স্বজন থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার পশ্চিমা সংস্কৃতি হলো এই বৃদ্ধাশ্রম বা বৃদ্ধনিবাস যা সামাজিক অবক্ষয়ের একটা বড় মাধ্যম।

নারীদের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার

ছোট বড় ভালো মন্দ উপকারী অনোপকারী সকল পণ্যের বিজ্ঞাপনে নারীদেরকে ব্যবহার করা।

> নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার নামে পতিতা বৃত্তিকে পেশা ও শিল্প হিসাবে স্বীকৃতি দানের জন্য মিটিং মিছিল বা মহা সমাবেশ করা।

> গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড বা লিভ টুগেদার মূলক সামাজিক অবক্ষয় সৃষ্টিকারক কালচার।

> বার্থ-ডে, ম্যারিজ ডে বা থার্টিফাষ্ট নাইট এর মতো বিভিন্ন দিবস বিজাতীয়দের মতো উদযাপন করা।

> সালামের মতো কল্যাণকর অভিবাদনের পরিবর্তে হাই, গুডমর্নিং, গুড নাইট ইত্যাদি বিজাতীয় শব্দ দ্বারা অভিবাদন আদান প্রদান করা ইত্যাদি।

উপরোক্ত বিষয় গুলোর সবগুলোই অপসংস্কৃতি, বিজাতীয় সংস্কৃতি পশ্চিমা আগ্রাসী সংস্কৃতি।

মোট কথা বিজাতীয় সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ভাবধারা আমাদের সমাজে এবং জাতীয় জীবনে ব্যাপক প্রচার প্রসার ও প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে তাদের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াগুলো । কেননা আমাদের সমাজে অপ্রচলিত ও অননুমোদিত বিষয়গুলো যখন ছেলে-মেয়েরা তাদের মা বাবার সাথে বসে বসে একই সাথে দেখে ও উপভোগ করে আর মা বাবার পক্ষ থেকে কোন বারণ বা নিষেধাজ্ঞাও দেখেনা তখন তাদের বদ্ধমূল ধারণা হয়ে যায় যে, এগুলো মা-বাবার পক্ষ থেকে অনুমোদিত। ফলে ধীরে ধীরে এই ছেলে মেয়েগুলো পুরোপুরি বিজাতীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির অনুসারী হয়ে পড়ে। ভুলতে থাকে নিজেদের সংস্কৃতি, সভ্যতা ইতিহাস ও ঐতিহ্য।

দেশ বরেণ্য চিন্তাশীল সুশীল সমাজের গবেষণা ও অভিজ্ঞতালব্ধ অভিমত হলো, বর্তমানে আমাদের দেশে আশংকাজনক হারে যে খুন খারাবী, রাহজানী, ছিনতাই, অপহরণ, এসিড নিক্ষেপ, ধর্ষণ, বিবাহ বিচ্ছেদ, পরকীয়া প্রেম, স্বামী স্ত্রী বা বউ শাশুড়ীর দ্বন্দ্ব ইত্যাদির মতো সামাজিক বিশৃংখলাগুলো ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। তার অন্যতম কারণ হলো বিদেশী চ্যানেল বা মিডিয়াগুলো। কেননা বিদেশী স্যাটেলাইট এই চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত নাটক, সিনেমা সহ প্রায় সকল অনুষ্ঠানের প্রধান প্রতিপাদ্য বিষয় থাকে মারা-মারি কাটা-কাটি, খুন খারাবী, ও সন্ত্রাসী আচরণ ও চিত্রায়ন, আর মোটামোটি প্রধান উপজীব্য বিষয়ই হলো প্রেমই জীবন, প্রেম ব্যর্থতাই আত্মহনন এবং স্বামী-স্ত্রী ও বউ শাশুড়ীর মধ্যকার দ্বন্দ্ব মূলক বিষয় গুলো।

সুতরাং আমাদের বাংলাদেশের আবহমান মুসলিম সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে এবং নিজেদের ইতিহাস ঐতিহ্য, সভ্যতা, কৃষ্টি কালচার, জাতীয়তা স্বকীয়তা সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে সর্বোপরী বর্তমান ও অনাগত ভবিষ্যত প্রজন্মকে বিদেশী বিজাতীয় ধ্বংসাত্বক সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে রক্ষা করার জন্য কার্যকরী ও ফলপ্রসূ পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। প্রয়োজনে শক্তিশালী একটা মিডিয়া গড়ে তুলতে হবে এবং এর মাধ্যমে নোংরা, সহিংস ও অশ্লীল ভারতীয় ও পশ্চিমা আগ্রাসী বিজাতীয় অপসংস্কৃতির ভয়াবহ ছোবল থেকে তারুণ্যকে রক্ষার জন্য ইসলাম বিধৌত বাঙ্গালী দেশজ সংস্কৃতির ব্যাপক বিকাশ ঘটাতে হবে।

আল্লাহ আমাদের সহায় হোন, আমীন।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url