চিকেন পক্স এর লক্ষণ, চিকেন পক্স এর চিকিৎসা ও চিকেন পক্স প্রতিরোধ

 

পক্স হলে কি করনীয়

চিকেন পক্স একটি সাময়িক রোগ। বাংলাদেশে বসন্তকালে চিকেন পক্স বেশী দেখা যায়। চিকেন পক্সের কারণ কিন্তু একটি ভাইরাস। এর নাম ভেরিসেলা।

সাধারণত ১৫ বছরের নিচের শিশুদের এই রোগ হয়। তবে সবারই চিকেন পক্স হতে পারে। এই অসুখ কারো যদি একবার হয়, তবে দ্বিতীয়বার হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।


লক্ষণ : চিকেন পক্সে ত্বকে ফুসকুড়ি হয়। আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসার কয়েকদিনের মধ্যে এ রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। চিকেন পক্স হবার ২-৩ দিন আগেই জ্বর দেখা দেয়। এ সময় মাথাব্যথা ও গলাব্যথা থাকে। সারা শরীরেও ব্যথা হতে পারে।

এই রোগে যে ফুসফুড়ি বের হয়, তাতে চুলকানি ও জ্বালাপোড়া থাকে এরপর ফুসকুড়িতে পানি আসে এবং শেষে শুকনো কালো রঙের খোসা তৈরী হয়। প্রতিদিনই নতুন নতুন ফুসকুড়ি তৈরী হয়।
অনেক সময় কোন লক্ষণ দেখা যায় না। শুধুমাত্র ফুসকুড়ি থাকে। জ্বরসহ অন্যান্য সমস্যা তেমন থাকে না।
এ রোগে আক্রান্ত হবার ১০-১৫ দিনের মধ্যেই রোগী সুস্থ হয়ে যায়। তখন স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে পারে।


রোগ নির্ণয় : চিকিৎসক রোগী দেখে এবং ইতিহাস শুনেই এ রোগ নির্ণয় করতে পারেন। গর্ভবর্তী মহিলাদের ক্ষেত্রে চিকেন পক্স নির্ণয় গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এ সময় চিকেন পক্স হলে বাচ্চাদের জন্মগত ত্রুটি হতে পারে।


চিকিৎসা : চিকেন পক্সের কোন সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়া হয়। জ্বর থাকলে জ্বরের ওষুধ এবং চুলকানি কমানোর জন্য ওষুধ দেয়া হয়। মারাত্মক ক্ষেত্রে এন্টিভাইরাল ওষুধ এবং ইমিউনো গ্লোবিউলিন ব্যবহৃত হয়। চিকেন পক্স হলে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। অনেক সময় চিকেন পক্স থেকে জটিলতা হয়।


জটিলতা : চিকেন পক্স হলে শিশুদের শ্বাসনালীর অসুখ ও পাতলা পায়খানা দেখা দিতে পারে। এ অসুখে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। সুযোগসন্ধানী ব্যাকটেরিয়া তখন আক্রমণ করে।
চিকেন পক্স ভালো হবার অনেকদিন পর্যন্ত দাগ থাকতে পারে। এরপর আস্তে আস্তে দাগ চলে যেতে থাকে।


প্রতিরোধ : চিকেন পক্সের যেহেতু সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই, তাই বিহিতব্যবস্থা হিসেবে জ্বর ও ব্যথার জন্য ঔষধ দেয়া হয়। আক্রান্ত রোগীকে পৃথক করে রাখতে হবে।
চিকেন পক্সের টিকা পাওয়া যায়। শিশুসহ যাদের এ অসুখ হয়নি, তাদের এ টিকা নেয়া উচিত।
চিকেন পক্সে সব খাবার খাওয়া যায়। পুষ্টিকর খাবার বেশী করে খাওয়া উচিত। এ সময়ে। বিশেষ করে ফলমূল খাওয়া উচিত।
ত্বকের ফুসকুড়ি বেশী চুলকানো ঠিক নয়। আক্রান্ত রোগীকে কোনভাবেই বাইরে যেতে দেওয়া ঠিক নয়।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url