প্রস্রাব করার সময় গায়ে বা জামা কাপড়ে ছিটা লাগছে এরকম সন্দেহ হলে ইবাদত করা যাবে কি?

 

প্রস্রাব করার সময় কাপড়ে ছিটা

প্রশ্ন: প্রস্রাব করার পরে প্রস্রাব গায়ে বা জামা কাপড়ে ছিটা লাগছে এরকম সন্দেহ হলে ইবাদত করা যাবে কি?

 

উত্তর: প্রস্রাব করার পর সুয়ের আগায় যে পরিমান পানি থাকে ওই পরিমান ছোট ছোট ছিটা যদি দুই/চার/পাঁচটা আসে আপনার কাপড়ে তাহলে শরীর নাপাক হবে না, তবে এগুলা যেন না আসে তার জন্য সর্তক থাকতে হবে কারন।

 

قال رسول الله صلى الله عليه وسلم
"تنجو من البول ، فاحذروا ، لأن معظم عذاب القبر هو إهمال البول"

 

রাসূলুল্লাহ (স:) বলেছেন প্রস্রাব থেকে তোমরা বেঁচে থাকবা, সর্তক থাকবা, কারন বেশির ভাগ কবরের আযাব প্রস্রাব থেকে অসতর্কতা থাকার কারনে হয়, এবং চগোলখোরী (এক জনের কথা আর এক জনের কাছে বলার জন্য-সবার কাছে গিয়ে ভালো থাকে পিছনে বদনাম করে) এই চরিত্রের কারনে আর এই প্রস্রাব থেকে অপবিত্র থাকার কারনে বেশির ভাগ কবরের আযাব হয়।

এ জন্য প্রস্রাবের ফোটা থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবেন, দাড়াইয়া যদি প্রস্রাব করেন তবে ছিটা বেশি আসবে এ জন্য বসে প্রস্রাব করবেন এবং উপযুক্ত জায়গায় করবেন তার পরও যদি ছিটা চলে আসে সুইয়ের আগার পরিমান এরকম দুই/চার/পাঁচটা ছিটা আসলেও এতে নাপাক হবেনা, সতর্ক সরুপ পায়ে আসছে পা ধুয়ে ফেলবেন, আর কাপড়ে এত অল্প প্রস্রাব লাগলে কাপড় নাপাক হবেনা।

অনেক সময় টয়লেটে বসলে মশা মাছি এক বার নাপাক জায়গায় বসে আবার আপনার শরীরে এসে বসে এর কারনেও শরীর বা কাপড় নাপাক হবেনা, কারন ঐ মাছির গায়ে বা পায়ে এত কম নাপাক লাগে যে ওইটা গননা করা কঠিন, যার কারনে সেটা মাপ।

আবার এহার বাহিরে বেশি প্রস্রাব যেমন এক দিরহাম পরিমান অথবা তার বেশি লেগে গেছে এরকম নিশ্চিত হন তাহলে নাপাক হবেন, আবার যে জায়গায় নাপাক হইছে সেই জায়গা ধুয়ে ফেললে আপনি নামাজ আদায় করতে পারবেন, আবার অনেকে আছে লাগছে সন্দেহ হয়ছে বা লাগছে মনে হয় এহার পাত্তা দেয়া যাবে না।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url