খাচার ভিতর পাখি পোষা জায়েজ কিনা?
প্রশ্ন : খাচার ভিতর পাখি পোষা জায়েজ কিনা? পাশের বাড়ির দেখে আমার
বাচ্চা খুব পাখি পুষতে চাই, আমি তাকে পোষার জন্য পাখি এনে দিতে পারি কি?
আমাদের শহুরে সমাজে শৌখিনতায়, আনন্দে, অনেকেই বাসা বাড়িতে পাখি
পোষেন এ ক্ষেত্রে ইসলামে খাচার ভিতরে পাখি পোষার দৃষ্টি ভঙ্গি কি?
উত্তর: (১) এই ধরনের পাখি পোষা অথবা পুষলে আলাদা কোন ফজিলত ছওয়াব
শরীয়তে এরকম কছিু বলে নাই। কোরআন হাদিস নির্দেশনা দেয় নাাই, একই সাথে কেউ যদি এরকম
কিছু পোষেন তাহলে শরীয়ত সেটাকে নিষেধও করে নাই।
হাদিসে দলিল আছে রাসূল (স:)-এর একজন ছোট্ট সাহাবী তার কাছে গিয়ে
খবর নিয়েছিলেন, হে উমায়ের তোমার নুগায়েরের খবর কি? (নুগায়ের নামে একটা পাখির ছানা সে
পুষতো বা দেখে শুনে রাখত) নবীজি বরং তার খবর ও নিয়েছেন, অথএব. কেউ যদি পুষে তাহলে নাজায়েজ
নয়।
উত্তর: (২) পাখি দুই ধরনের হয়, (১) বন্য (২) পোষ্য, বন্য মানে কি? কত গুলো
পাখি এমনে ঘুরে বেড়াই আপনি ধরে নিয়ে এসে খাচাই ঢুকালেন,
আর কত গুলা পাখি আমাদের সমাজে আছে সেই পাখি গুলা আমরা দেখতে পাই
পোষ্য যেমন: মুনিয়া, লাভ বার্ড, কর্নিউর,ফিন ইত্যাদি সুন্দর সুন্দর পাখি আছে এদের কে
যদি আপনি ছেড়েও দেন কাক বা অন্য পাখি ঠুকরাই মেরে ফেলবে, এদের কে বিডিং করে তৈরী করা
হয় পোষার জন্য, অথএব এরকম পাখি যদি আপনি পোষেন আপনার জন্য কোন সমস্যা নাই।
তবে সর্ত আছে কষ্ট দেওয়া যাবে না খাদ্য ঠিক মত দেওয়া লাগবে, দেখে
শুনে রাখা লাগবে। পাখি পোষা নফল ও নয়, কিন্তু আপনার কোন পাখি যদি খাদ্যের অভাবে বা
অযত্নে যদি মারা যায় তাহলে আপনার একটা কবিরা গুনাহ্ হয়ে যেতে পারে।
রাসূল (স:) বলেছেন তাহাজ্জুত গুজার নারী বিড়াল টা বেঁধে রেখেছিল
ছেরেও দেয়না, খাবারও দেয় না, মারা গেছে আল্লাহর নবী বলেছেন তার তাহাজ্জুত কাজ দেয় নাই
আল্লাহর আযাবে সে গ্রেফতার হবে।
অথএব, পাখি পুষেন বা যাই পুষেন এটা নাযায়েজ নয়, তবে তার যত্ন নিতে
হবে, পাখি পোষা বা পালা ইসলাম নিষেধ করেনা।
সম্পাদনায়:
গাজী জাহিদুল ইসলাম বিন জহর (সাতক্ষীরা)