সতী নারীকে অপবাদ দেওয়ার শাস্তি শাইখ আহমাদুল্লাহ Sheikh Ahmadullah


 

সতী সাধ্বী নারীর উপর মিথ্যা অপবাদ দিলে এর শাস্তি কি দেখুন কোনো সতী সাধুবী নারী যার চরিত্রে আসলে কোনো কালিমা লাগে নাই আপনি শুধুমাত্র সন্দেহ করে যে অমুক ছেলের সাথে দেখছি তাকে বা তার সাথে কথা বলতে দেখছি এরকম কোনো কিছু দেখেই অনুমান করে বলে দিলেন যে সে তার সাথে জেনায় লিপ্ত হয়েছে এরকম অনেক মিথ্যা অপবাদ অনেক মেয়েদের ব্যাপারে গ্রামাঞ্চলে শহরের সব জায়গায় আজকাল দেয় কি দেয় না মানুষ এই অপবাদের ভয়াবহতা আমরা অনেকে জানি না কোরানে হাকিম আল্লাহ বলেছে কারোর চরিত্র সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করা এটাকে তোমরা মনে করো খুব সাধারণ বিষয় অথচ এটা আল্লার কাছে অনেক বিশাল বড় ব্যাপার মানুষের চরিত্র এবং ইজ্জতের দাম কত জানেন বিদায় হজের ভাষণে বলেছেন যে আজকের এই দিনটি অর্থাৎ আরাফাতের দিন আজকের এই জায়গাতেই অর্থাৎ আরাফাতের ময়দান এগুলা যেরকম সম্মানিত আজকের এই মাসটি অর্থাৎ জিলহজমার যেরকম সম্মানিত চার মাসের একটি তোমাদের ্রত্যেকের জন্য অন্য সমস্ত মুসলমানের ইজ্জত, তার সম্পদ, তার সন্তান, তার সবকিছু তোমাদের জন্য সেরকম সম্মানের.
এগুলোকে নষ্ট করা যাবে না. ওই জায়গার সম্মান নষ্ট করা, মাসের সম্মান নষ্ট করা, আরাফাতের দিনের সম্মান নষ্ট করা, যেরকম অপরাধ, কোনো মানুষের ইজ্জত সম্মান নষ্ট করা সেরকম অপরাধ. এইজন্য ধারণা করে কারুর সম্পর্কে খারাপ কথা বলা যাবে? যাবে? যাবে না. ভাইয়েরা আমার. কোন নারী, তাকে যদি কেউ মিথ্যা অপবাদ দেয় কোরানে কারীমে তার জন্য পরিষ্কারভাবে, দণ্ড ঘোষণা করেছে. আল্লাহ বলেছেন যদি কোন সতী নারীর সতীত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে তাকে জেনার অপবাদ দেয় ব্যাভিচারের অপবাদ দেয় কেউ এবং সেটাকে যদি প্রমাণ করতে না পারে সাক্ষী দিয়ে যে সাক্ষীরা দেখেছে এরকম প্রমাণ যদি করতে না পারে তো আল্লাহর বলেছেন ওই অপরাধীকে আশিটা বেত্রাঘাত করতে হবে ইসলামের দণ্ডবিধি অনুযায়ী ইসলামী দন্ডবিধির আলোকে বিচারকের বিচারক বিচারের মাধ্যমে আসি বেত্রাঘাত করতে বলা হয়েছে ওই রকম ব্যক্তিকে ইসলামে অনেক গুনাহ আছে যে গুনাহ গুলো করলে শাস্তির কথা বলা হয়নি আপনি গান শুনছেন মিউজিক সহকারে হারাম.
কিন্তু এর জন্য সরিয়াতে কোন হক ঠিক করে দেয় না. যে এতো শাস্তি আপনার জন্য আছে. আপনি গিবত করেছেন. অনেক জঘন্য অপরাধ. এটার কারণে আপনার অনেক শাস্তি হবে আখেরাতে. কিন্তু দুনিয়াতে কোন বিচারিক আদালতে ইসলামী শরীয়ার বিধারী বিচারিক আদালতে আপনার জন্য কোন শাস্তি নিরূপণ করে দেয় নাই. কিন্তু কোন নারীর চরিত্রে কালিমা এঁকেছেন. এমনকি একই কথা প্রযোজ্য কোনও সৎ পুরুষের চরিত্রে আপনি যদি কালিমা আঁকেন. তাহলে সেক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য. আপনার জন্য আশি শাস্তির কথা বলা হয়েছে.
অতএব মানুষের চরিত্র হনন করা. এটা কত জঘন্য অপরাধ. এখান থেকে বোঝা যায় কি যায় না. কিন্তু আমরা একটু ঠোনকে অজুহাত পাইলে জাত তার নামে যা তার উঠায় দেই. এবং সে সমস্ত কথা বলি. আল্লাহ আমাদেরকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুন.
চরিত্র. সেটাকে নিয়ে এরকম কিছু মানুষ কথা তুলেছে. তুলছে না তোলে নাই. সেই মানুষগুলো এখনো পর্যন্ত চরিত্র নিয়ে বাজে কথা বলে কি বলে না? সেই মানুষগুলো তাদের সেই সমস্ত দুশ্চরিত্র যেন আমাদের মধ্যে না থাকে. সে সম্পর্কে বিভিন্ন জায়গায় আল্লাহর আমাদেরকে গুরুত্ব আরোপ করেছেন. বিধায়. আমরা সেগুলো থেকে থাকবো. চেষ্টা করবো তো ইনশাআল্লাহ. কারোর চরিত্রে কালিমালিপ্ত দেবো
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url