স্ত্রীর কথায় মায়ের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা যাবে কি? শাইখ আহমাদুল্লাহ ওয়াজ Sheikh Ahmadullah Waz
স্ত্রী স্বামীকে বলেছে যে তার সাথে সংসার করতে চাইলে স্বামী যেন তার মায়ের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে. এ অবস্থায় স্বামী কি করবে? তার বাবা মারা যাওয়ার পর আর মা দ্বিতীয় সংসার করছিলেন.
কোনো স্ত্রী যদি তার স্বামীকে এরকম আল্টিমেটাম দেয় যে তুমি আমার উম আমার সাথে সংসার করতে হলে অর্থাৎ তুমি আমার স্বামী হিসাবে থাকতে হলে তোমার মায়ের সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করতে হবে. তাহলে এটা একাধারে কেয়ামতেরও একটা আলামত. আবার একাধারে এই মহিলার এই ভদ্রমহিলারও লক্ষণ.
কেয়ামতের আলামত এই অর্থে যে একজন মহিলা, তিনি স্বামীকে শর্ত দিচ্ছেন যে তুমি সংসার করতে হলে আমার এই কাজ করা লাগবে. এটা সাধারনত তো হয় না. হয় উল্টা. যদিও অন্যায় ভাবে এরকম কোন শর্ত যদি স্বামী ও তার স্ত্রী দেয়, সেটাও অন্যায়.
অতএব এটা অবশ্যই কেয়ামতের আলামত. যে এই মহিলা তার স্বামীকে এভাবে শর্ত দিচ্ছে যে আমার স্বামী থাকতে হলে তোমার এই শর্ত পূরণ করতে হবে. আবার একই সঙ্গে তিনি আ মূর্খতার পরিচয় দিয়েছেন. কারণ, তিনি নিজের ক্ষতি করছেন. বলেছেন বর্ণিত হয়েছে.
যে চায় তার রিজিকে এবং হায়াতে প্রশস্ততা হোক. বরকত হোক. সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্কগুলোকে রক্ষা করে. আত্মীয়তার বন্ধনগুলোকে সম্পৃক্ত করে সংযুক্ত করে. অতএব কেউ যদি তাঁর রক্ত সম্পর্কে মানুষের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করে. তাঁর রিজিকি এবং হায়াতে বরকত হবে না বরকত কমবে.
তাহলে এই মহিলা তাঁর স্বামীকে যদি তাঁর মায়ের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয় আর আত্মসম্পর্কে আত্মীয়র ভিতরে সবচাইতে প্রধান এবং মৌলিতো হলো মা-বাবা. সেই তাদের সাথেই যদি সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয় তাহলে এই ভদ্রলোক এই মহিলার স্বামী তার রিজিগন হায়াতের বরকত এবং কল্যাণ কমে যাবে. এটাতে মহিলার নিজের লাভ হবে না ক্ষতি হবে. তাহলে নিজের ক্ষতি যে সে করে সে কি বুদ্ধিমান না বোকা? এই জন্য আমি বলেছি এ ভদ্র মহিলা বোকা. নির্বোধ. আপনার শাশুড়ি আপনার কাছে কোন কারণে অপছন্দনীয় হতে পারে. কিন্তু আপনার স্বামীর যেহেতু মা অতএব আপনি বরং তাকে দিবেন. যেকোনো মূল্যে তুমি তাঁর সাথে সম্পর্ক বজায় রাখো. আপনার কাছে খারাপ লাগে. আপনি প্রয়োজনে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখেন. যদি তাঁর জুলুমে আপনি অতিষ্ঠ হন এরকম কিছু হয়.
কিন্তু সন্তান কখনো মাকে ত্যাগ করা জায়েজ হতে পারে. বাবা মার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা কোন সন্তানের জন্য কখনো হালাল হতে পারে? বলেছেন কয়েকটা লোকের আমল ইবাদত কবুল হয় না. সালাত কবুল হয় না. এর ভিতরে একটা হল আখ. অর্থাৎ মা বাবার অবাধ্য সন্তান.
অতএব এই নারী যে কথা বলছেন সেই নারীর কথা শোনা স্বামীর জন্য কোন অবস্থাতে বরং তার কথা লঙ্ঘন করা ফরজ. এই নারী তাকে হারাম কাজ করতে বলছে. এ হারাম কাজ. স্ত্রী কেন? অন্য কেউ যদি বলে সেটা শোনা যাবে. বিধায় স্ত্রীকে হয় বোঝাতে হবে. আর যদি স্ত্রী মানতে রাজি না হন. তাহলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই স্ত্রীর অন্যায় আবদার মানা যাবে না. কোন যুক্তিতেই যাবে না. মা যতই খারাপ হোক. জুলুম করুক. কিন্তু মাকে সন্তান কখনো ত্যাগ করার অধিকারী সন্তানকে ইসলাম দেয় নাই.