যার মধ্যে এই দুইটা জিনিস নাই সে জান্নাতী, আনিসুর রহমান আশরাফী

 


আমি যে আয়াতখানা পড়ছি এই আয়াতের মধ্যে আল্লাহ তালা বলেন আমি শুধু তর্জমা বলেই শেষ করছি.আল্লাহ তালা বলতেছেন অনুব বানদীওয়ালা. আল্লাহ বলেন দুইটা জিনিস. যার মধ্যে থাকবে না. আমার জান্নাত আমি তাঁকে দেবো. যার মধ্যে দুইটা জিনিস থাকবে না আমি তাঁকে জান্নাত দেবো. কয়টা জিনিস বলেন? এক নাম্বার অহংকার. দুই নম্বর ফাসাদ.

এক নাম্বার যে জমিনে অহংকার করবে না আমি তাকে জান্নাত দেবো. দুই নাম্বার যে জমিনে ফাসাদ করবে না আমি তাকে জানলাম. সহজ করে. আল্লাহ তালা বলেন অহংকার করা যাবে না. অহংকার শুধু আমার চাদর. অহংকার শুধু আমিই করবো. আল্লাহ বলছে. আর কেউ করতে পারে না. আর কারো অহংকার করার কোন সুযোগ নেই. হাদিসের মধ্যে আছে আল্লার নবী তিনি কোনদিন পিছন দিকে হেলান দিয়ে, জুতা পায়ে খাবার খেতেন. বলতেন এটা অহংকারের পরিচয়. আল্লার নবী দুই হাঁটু তুলে পিঠ সোজা রেখে মাথা ঝুকাইয়া এরপরে খানা খেতেন. হাদিস এবং বলতেন এক গোলাম তার মুনিবের সামনে যেভাবে খায় আমি মহম্মদ আমার রবের সামনে এভাবে খানা খা. বিনয়, তাওয়াজু.
এটা রসুলুল্লা শোভাচলন. তাহলে পৃথিবীর মধ্যে আল্লাহ ব্যাতিত যদি কেউ অহংকার কিছু করার মতো থাকে. তো সেটা রসুলুল্লাহ করতো না কি বলেন? কারণ কোনো যোগ্যতায় এক সুতা ওনার মধ্যে গাট্টি নেয়. বলেন না যত যোগ্যতা কল্পনা করা যায় এর কোনোটার মধ্যে ওনার কোনো ঘাটতি ছিল? সৌন্দর্য, রূপ. আচার, ব্যবহার, কথাবার্তা, জ্ঞান, গরিমা, বুদ্ধিমত্তা, চলন বলন সবকিছুতে তিনি সেরা তবুও তিনি কোনদিনও অহংকার করো. অহংকার করেন.
হাদিসের মধ্যে আছে. আল্লার নবী ডানদিক থেকে কেউ যদি ওনাকে ডাক দিতেন, কথা বলতেন. তো আল্লাহর নবী পুরা চেহারা ঘুরাইয়া. এভাবে তাকাইয়া. কথা শুনতেন.
যতক্ষণ ওই লোক অতক্ষণ চেহারা ফিরাইতেন না। এটা তাওয়াজ? বিনোদ। এমন না যে সামনের দিকে তাকায় আছে ওই ব্যাটারে বলছে হ্যা কবে না হুমতাজি তো? এমন হয় না আমাদের? আল্লাহ রসুল এটা করতেন কেউ হাতে মোসাফা করছে? নবীজি কখনই নিজের হাত টেনে নিতেন না। ওই লোক যখন হাত ছাড়াই তো তখন ছাড়বে। তাওয়াজ? বিনয় ছিল তাহলে এই জন্য অহংকার যে করবে না. আল্লা বলেন আমার জান্নাত তার জন্য.
অহংকার কাকে বলে? আল্লার নবী বলছে দুই জিনিস. কয় জিনিসকে বলেন? এক নাম্বার যত কিছু হক শরীয়তের বিধিবিধান এর যেইকোনো একটাকে অবজ্ঞা করা, ফেলে দেওয়া, পরিত্যাগ করা, নিজের জীবন থেকে বাতিল করে দেওয়া, এটাই অহংকার. এই লোকটাই অহংকার. এজন্য যত যুবক যত মুসলমান নামাজ পড়ে না. করে না. এরা অহংকারী. কারণ এটা হক. সত্য বিধান ইসলামের. এটাকে সে অস্বীকার করেছে. অবজ্ঞা করছে. এই অহং যত শুদ্ধ কথাই বলুক ডিগ্রি আঠারো কিসিমেন্ট ডিগ্রি লোক কথা বোঝেন না. সে আপনার অভদ্র. সে জিদা বিহীন কোনো মানুষ ভদ্র হতে পারে না.
নামাজ বিহীন কোনো সন্তান কোনো মানুষ ভদ্র হতে পারে না হতেই পারে না হতেই পারে আল্লা পরিচয় বলছে কোরানে আল্লাহ বলছে ইবলিশকে যেন ইবলিশ সে যে অন্তর্ভুক্ত ছিল না সে চিতাকারী নয় যে তার পরিচয় নেই অতএব দোস্ত তুমি তোমার পরিচয় ঠিক করো তুমি মানুষ কিনা না ইবলিশ সেজদার ভিত্তিতে সে তার ভিত্তিতে প্রমাণ.
আল্লার নবী বলেন আমি আর আমরা ঈমানদার আর বেঈমান পার্থক্য নামাজ কি? নামাজ আমি প্রায়ই বলি আগা খাটা না আগা কাটলে মুসলমান আগা না কাটলে মুসলমান না না আগা কাটার ভিত্তিতে কি না মুসলমানের হিসাব কিতা ওইটা একটা আমল এটা একটা জরুরি আমল মুসলমান আর বেইমানের পার্থক্য কি বলেন না? প্রত্যেকটা বিধান যে সুদ খায় সে অহংকারী যে অশ্লীল ছবি দেখে নর্তকীর নাচ দেখে সে অহংকার যে মা বেপর্দা চলে ওই মা অহংকার যে বোন বেপর্দা চলে ওই বোন বে অহংকারী. যেই বিবি এ পর্দা চলে ওই বিবি অহংকার. যে ঘরে রঙিন টেলিভিশন চলে ওই ঘর ওয়ালারা অহংকারী পরে আল্লাহকে পরোয় করেন আর আল্লাকে মূল্যায়ণ করে না আল্লা বলেন আমার সাথে যে অহংকার দেখায় আমি তারে এমন ভাবে ধরি এক আচারে আমি সোজা করবো আল্লাহ বলেন আমারে চিনো নাই তো.
বোঝোই নাই আমাকে. আল্লাহ বলে আরে মানুষ. তোমরা আমারে চিনো না. আন্দাজ করো. আন্দাজ করো. আমি রহম করেছি. আমার নাম যেমন রহমান. আমারই নাম কাহার. আমার নাম যেমন রাহিম. আমারই নাম জব্বার. মনে করো. আমার দোনো নামের অর্থ শুইনা নেয়. আমার রহমান নামে র কি এটাও জেনে নাও আমার জাব্বার নামের অর্থ কি? এটাও জেনা.
আমার রাহিম নামের অর্থও শোনো আমার নামের অর্থও শোনো তাইলে আমি দাস করবো আর আমি ভাগ করে রাখছি কখন আমি রহমতের আচরণ করবো কখন আমি কাহারের আচরণ করবো এটাও আমি ভাগ করে রাখছি দুনিয়ায় আমি রহমতের আচরণ করি তোমারে দুগা ভাত খাওয়াই তোমারে এত চুরি, ডাকাতি, এতো মিথ্যা এতো চুরি এতো মোবাইল এতো অস্থিরতা এতো গান বাদ্য এত না আছে গানের পরেও ছেলেপেলেরা বুঝেন নাই কথাটা আল্লাহ কিচ্চু তো কই কই এর মানে কি দিল না লে দুই একটা আছাড় দিল না হইলে কই কিচ্ছু তো কয় না আমি তো আমার আমার নাফরমানির উপরে তো আমি বহাল তো বিয়তেই কি আছি আল্লাহ বলে আহারে আমার একটু দয়া দেইখা তুমি ভুল করছো না আমার একটু দয়া এ তোমারে ভাত টাত খাওয়াই দেইখে তুমি মাতো না.
মনে করছো আমি আর কিচ্ছু কইতাম না হ্যাঁ. তোমারে যে পরিমাণ ভাত খাওয়াই? আমার বাঘ বালুক লুকড়ে. আমি এত বেশি খাবো. ঠিক না বলেন। আমার হাতিকে, আমার তিমিকে, আমি এর চাইতে বেশি খাওয়াই। অতএব এটারে তুমি কিছু মনে করো তোমার শাস্তি বড় সামলাবো আলিম আল্লাহ বলেন, আমার আজাব বড়ো, ভয়ঙ্কর আজাদ। অতএব আমার মাফ প্রত্যেকটা গুনাহ প্রতিটা গুনাহ কি বলেন না? অহংকার.
অহংকার. মানুষ আল্লাহর সাথে বড়াই করছে. আল্লাহকে কিছুই মনে করে না. ছেলেরা একজনও যদি হয়. একজনও যদি শুনে থাকো. তোমার কাছেই বদলা. আল্লাহর কথার একটা নিয়ম মনে রাখবেন. সবাই একরকম হয়ে যাইবেন. একজন আরেকজন থেকে আলাদা হয়ে যান. অর্থাৎ সবাই একত্রে একসাথে গুনার উপরে জমে যায়েন না. গুনার পরিবেশ থেকে আপনি একজন হইলে একজনই আলগা হয়ে যান.
আপনি তার জন্য আর জিকির করেন না. যখন দেখবেন নাফরমানি ছাড়ছে না. আপনি নিজেকে বাঁচায় ফেলুন. হাদিসের মধ্যে আছে. হজরত বলছেন. ইয়া রাসূলাল্লাহ যদি আমি কখনো এমন দেখি যে আমার সমাজের প্রত্যেকে গুনাহ আর নাফরমানির মধ্যে মজবুত হয়ে গেছে. আমি কি তখন তাদের সাথে মিশে যাবো? আল্লাহর নবী বলছেন না.
প্রয়োজনে গাছের গোড়ালি. গাছের শেকর কামড়াইয়া ধইরা হইলো একলা হইলো. নিজেকে বাঁচাইলো. বুঝছেন? আমরা দিবা নিশি বলে যাচ্ছি. এটা এর ভিতরে দিয়া গোটা পৃথিবী আমল না করুক. তো নিজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়া রাখছি. আমি নামাজ পরবো. আমার শেখ আল্লামা মুফতি মুস্তাক নবী সাহেব বলে এই কথা. যে জিকিরের কথা আমি দিন রাত বলে যাচ্ছি.
আর বলার দ্বারা যে পড়ছে তো পড়ছে. কিন্তু কেউ যদি না করে আমি মুস্তাক নবি সিদ্ধান্ত নিয়া রাখছি. আমি জিকির করমুই. হুজুরের কথা এটা. আমি এটা করুমই বাকি অন্যগুরুও বলতেছি. এখন যদি কেউ না শোনে, অসুবিধা কি? তিনশো বছর দাওয়াত দিছে. এমন নবী পৃথিবীতে ছিল. একজনই মানালে নাই.
হাদিসে আছে. বোঝেন নাই? একজনও কি আনে নাই? কিসে? ওই নবী মারি গেছে নাকি? ওই নবী বার. মধ্যে আছে. তিনজন নবী একত্রে দাওয়াত দিছে. তিনজন রসূল. তৃতীয় জনকে দিয়ার পরে তিনজন রসূল. তিনজন রসুলের দাওয়াতে ইমান আনছে শুধু একজন. একজন. কি হইছেন? এইজন্য বাপ এটা ফকির করা. আমার দ্বারা যেন করে না.
আমি অনুরোধ করছি আপনারা যারা শেষবারে বসলেন আল্লাহ আপনাদের উপরে রহম করেন. আপনাদের কাছে অনুরোধ বাজার. যখনই কোরানের কথা শুনবেন. আল্লাহর কথা শুনবো. দিলসাফ করে বসবো. নিয়ত করে বসবো. ছয় ঘণ্টা না শুনলেন না শুনলেন. এক ঘন্টায় যখন শুনবেন. একদম ফারেক হইয়া. কোন দুষ্ট বন্ধু লগে না লইয়া. একলা চুপচাপ.
বন্ধুকে বল তুই আনতে সর. আমি আমার কথাই শুনবো. দেখবেন এতে ফায়দা হতে. এতে ফায়দা হয়. উপকার হয়. আজকে এজন্য এই গুনার ওপরে জমে থাকা. ঠাট্টা মনে করা. ওয়াজটাকে ঠাট্টার বিষয় বানাবি. হাসে. বেটকায়. কিচ্ছা কয়. গল্প করে. তামসা করে. এটার নাম ওয়াচ. মানুষ জমছে. না বাজান. না বাজান. আখেরাতে লোক সংখ্যার লোক সংখ্যার ভিত্তিতে? না না না. কোরানে আল্লাহ বলছে আমি কোয়ান্টিটি না. আমি কোয়ালিটি দেখবো.
আমি পরিমাণ না, গুণগত মান দেখবো. গুণগত মান কারণ আসমান আর জমিনের চাইতে ভারী হবে. কারো এক কোটি সেজদা ওজনে আসবে না. ওই যে সুন্নত মোতাবেক হয় নাকি? কোরানে আছে. কোন কোন নাফরমানের সমস্ত আমল. ওজনে আসবে না. মানেটা এক কেজি ওইটা. এই জন্য ভাইয়া চাই আমাদের ভিতরে এখলাস দরকার. আমারও আয়োজকদেরও শুন্যেও. নালে কাঙ্খিত হয়. প্রতিটা মাহাফিলে কষ্ট আছে. প্রত্যেকটা মাহফিল মেহনতের মাহফিল. এখানে আইসা বক্তা হিসেবে শুধুমাত্র হাজার টাকা.
চুক্তি করে নিয়ে যাওয়া. হুম. এটার নাম জিন্দেগী না. এর পিছনে অনেক শ্রম বেদ আছে. তাহলে এটার একটা ফলা কথা বলেন ফলাফল এটাই কি যে লোকেরা বলল লোক হইছে এটাই ফলাফল এটাই প্রাপ্তি তার আর মাহফিলে লোক হইছে না এটাই অপ্রাপ্তি এটা ব্যর্থতা তাহলে প্রাপ্তি এবং ব্যর্থতা তো এটা না.
কয়জন আল্লার বান্দার কলিজায়. আখেরাতের মহব্বত আসছে. এটা দেখার বিষয়. কয়টা ছেলের ভিতরে নামাজের দশবার এটা দেখার বিষয় এজন্য আমার অনুরোধ আল্লাহ তালা বলে বান্দা অহংকার করলে আমি জান্নাত দেবো না আর অহংকার না করলে আমার জান্নাত তোমার জন্য প্রতিটা নাফরমানি.
অহংকার. দুই নাম্বার হলো অপরকে তুচ্ছ করা. মানুষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা. যে কোনভাবে এটা অহংকার. এটা কি বলেন না? অতএব আল্লাহ বলেন অহংকার করবে না. আমার থেকে জান্নাত বুঝে নিবা. আর আমি অল্প কথার জন্য বললাম. অহংকার দুই জিনিস. আল্লাহ আল্লাহর রসুলের কোনো নাফরমানি হওয়া, এটাই অহংকার. আর মানুষকে হেয় করা এটাই আহ্বান
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url