যুবকদের জন্য মুফতি আনিসুর রহমান আশরাফীর গুরুত্বপূর্ণ বয়ান anisur rahman ashrafi


এক যুবক সাহাবী মাত্র ষোলো বৎসরের উনি বলতেন আবু বকর তিনি যদি আমারে বলেন এই পাহাড়টা এই জায়গার থেকে কাইটা আমি এই জায়গায় আইনা থুব দিতাম আমি এটা করতে পারি তাহারে মাটি কয় কেজি, দুশো কেজি.
কিন্তু তাঁর হিম্মতটা কি? মানে যুবকের ভিতরে যৌবনের ভিতরে আল্লাহ কি শক্তিটা রাখছে? অপরিসীম শক্তি. অপরিসীম শক্তি.
এতটা মূল্যবান শক্তিটা সময়টা সে নেশাগ্রস্তের মতো মোবাইলের উপরে ওয়াক করবো এ এখানে আমি এখানে এখন আসতেছি এন্তিকানে এহানে বইয়ে বইয়া পোলাপাইন. চাইরটা পাঁচটা এমনে সব মানে চোখ খোয়াইয়া লইতাছে.
আহা বলে না. বলেন না জীবন গড়বে যখন ভেঙে যাচ্ছে তখন ক্যারিয়ার গর্ভে উঠবে যখন এই সময়টাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এই জন্য আজকে আমাদের এই ছেলেপেলেদেরকে এই আগ্রহটা এই আন্তরিকতাটা বোঝানো দরকার কাফেল ছেলেরা. গতকালকে আমি সিলেট ছিলাম. ফজরের সময় আসছি.
এক যুবক সুন্দর চেহারা সুঠাম স্বাস্থ্য মশাল। পরে আমি আমারে খানা দানা খাওয়াইছি। তা আমি বললাম ভাই আপনি কি করেনে? কয় যে বিদেশের জন্য চেষ্টা করতেছি। আমি বললাম কতদিন হবে? প্রায় দেড় বছর পারি দেড় বছর হইয়া গেছে ওরা বিদেশের লিগে চেষ্টা করতেছে। এইটাই ওনার বর্তমান পরিচয়। যে উনি বিদেশের লাইগ্যা চেষ্টা করতেছে। আর বাকি চেষ্টা মানে কি এখান থেকে লন্ডন যাওয়ার জন্য দাড়ি কাটতে আসে? সুড়ঙ্গ করতে আসে নাতে? চেষ্টা তো এটাই মানে এমপিকে মারি কাটতে কাটতে কাটতে কাটতে যেদিন লন্ডন পর্যন্ত মাটি কাটা শেষ হবো সেই দিন উনি মায়ের লন্ডন যাইবো। নাহলে এটার শেষটা মানে কি? এই কথার উপরে সে তেরোটা বৎসর তার ফ্যামিলির উপরে বোঝা হইয়া ভাত খাইতাছে ঘুম যাইতাছে মোবাইল টিপতেছে কইতাছে বিদেশের লাইগ্যা কি করতেছি কত আপনি বলেন না এটা কি একটা পরিচয় হলো? একজন শক্ত সামর্থ্য তাগড়া ছেলে এইটা কি কইলো? আমি পরে অনেকক্ষণ বুঝাইয়া বললাম আরে বাপ কি কও বিদেশ যাইবা যেদিন যাইবা দিনে না যদি তোমার শোনো যে সিলেটি আর বুক থেকে.
সকাল এগারোটায় ফ্লাইট. আমার তো ইচ্ছা তুমি মুসলমান সকাল নটা পর্যন্ত কাম করবা. এরপরে এগারোটার ফ্লাইট দিয়ে দেন. উচিত তো ছিল ওইটাও না. তুমি দেড় বৎসর কোন পরিচয় নাই. এ কেমন জিন্দি. এরম হাজার হাজার লাখ লাখ.
লক্ষ লক্ষ মুসলমান ছেলেপেলে জন্য ভাই। আমার অনুরোধ যুব সমাজের উদ্যোগ এই জন্য বললাম। এই উদ্যোগ মানে পরিবর্তনের উদ্যোগ যুবক মানেই যৌবন মানেই পরিবর্তন যৌবন মানেই নতুন জোয়ার যৌবন মানেই কিছু করা কিছু করা এজন্য যুবক ইচ্ছা করলে একটা সমাজের প্রত্যেক ঘরে ঘরে নেশার দ্রব্য চেষ্টা করলে পৌঁছাইতে পারবো.
যুবকরা আবার চেষ্টা করলে প্রত্যেক ঘরে ঘরে মুসলমানের সন্তানদেরকে নামাজীও বানাইতে হবে. এটা সম্ভব.
আল্লা তালা কোরান করিমের মধ্যে ওই গুহার যুবক যারা গুহার মধ্যে ঘুমাইছিলো শুনছেন না আপনারা এই কথা? তিনশো নয় বৎসর ঘুমাইছে ওই যুবকদের ব্যাপারে আল্লা বলছে আল্লা বলেন তারা ছিল যুবক তারা আমার উপর ইমান আনছে আমি আল্লাহ তাদের ঈমান বাড়ায় দিছি তারা আনছে যে দূর আমি বাড়ায় দিছি তার চাইতে বহু গুন.
ফলে বলেন তাদেরকে ঘুম পারায় তোরা ঘুমা আমি এই জালিম বাদশাকে তার মৃত্যু হবে তারপরে আরেকজন আসবে তারপরে আরেকজন আসবে তিন তিনজন বাদশারা রাজত্ব কাল চলে গেছে চতুর্থ নাম্বার বাদশা যখন বাদশা হইছে তখন এই যুবকরা ঘুম থেকে উঠছে আল্লাহ তালা বলছে জমিন.
পবিত্র বাদশা দিয়ে এতগোরে ঘুমাইতে হবে. তাদেরকে আমি রক্ষা করবো. এজন্য আমার অনুরোধ আমরা প্রত্যেকেই ভাইয়া এই ফিকির করো. যারা এই শুনছো এতক্ষণ কেন শুনছি? এবং নিজের মধ্যে যোগ বিয়োগ মিলাও. ইসলামের পথে উপকার কি? ইসলাম বিহীন ক্ষতিটা কি? আমার জিন্দেগী. সুন্দরভাবে উঠছে কিনা. আমার জীবনের একটা পরিচয় কি? আমি কি পরিচয় দাঁড়াইতেছি? বড় হইতেছি.
সমাজ অবস্থান কি হচ্ছে? যে ছেলেটা একটা ওয়াক্ত নামাজ পড়ে না. সমাজে তার মর্যাদাটা কি? যে ছেলেটা নারীর পিছনে মেয়ের পিছনে ঘোরে সমাজে তার অবস্থানটা কি? এই দু চার জন বন্ধু একত্রে এদের একজনের কাছে আর একজনের কদর. এটা দিয়ে তো হলো.
সমাজ আমাকে কি চোখে দেখে? মহল্লাবাসী আমাকে কি চোখে দেখে? এটা তান্দাজ করা যায়. বুঝা যায়? এই জন্য আমরা প্রত্যেকেই আখেরাতের পুঁজি পরকালের পুঁজি আখেরাতের কিছু সম্বল জোগানো এটাই আমাদের মাহফিল গুলোর বাক্সা কোনো প্রদর্শনী কোনো লৌকিকতা, কোনো হুঙ্কার এটা মূল উদ্দেশ্য না. মূল উদ্দেশ্য আল্লার সাথে জুড়ে দাও.
মূল উদ্দেশ্য আখেরাত টার্গেট বানায় দাও. মূল উদ্দেশ্য জান্নাতের পথ চোখের সামনে খুলে দাও সাহাবা ইকরাম আল্লার নবীর সহবতের এটা বুঝছেন বুঝার পরে হালাত এমন হইছে যে ওনারা যেন চোখের সামনে জান্নাত জাহান্নাম দেখতে পাইতে নাকের মধ্যে গ্রাম পাইতেন হজরত আবু দুজানা হাদিসে আছে উহুদের যুদ্ধের দিন হযরত আবুদ্দুজা নামে একজন সাহাবী পুরা শরীরের মধ্যে প্রায় বিরাশি থেকে তিরাশিটা বর্ষা বল্লমে ওনার শরীর ঝাঁজরা করে ফেলছে.
যখন উনি একেবারে রক্তাক্ত হয়ে পড়ে আছে. তখনও জান যায় নাই, রুহু যায় নাই. এই সময় একজন সাহাবী উনারে ডাক দিয়া বলতেছে তোমার খুব কষ্ট হইতেছে না ভাই. তখন উনি আওয়াজ করে বলছে, আল্লাহর কসম! আল্লাহর কসম বন্ধু আমি আমার নাকে উহুত পাহাড় থেকে জান্নাতের গ্রাম পাচ্ছি.
তাইলে উনি এটাকে ওনার জন্য কোন ক্ষতি মনে করছে না. বরং উনি সৌভাগ্য মনে করতেছে. সৌভাগ্য. সৌভাগ্য. এভাবে যেন দেখতে যেন কলিজার মধ্যে যদি আখেরাতের প্রেরণা না আসে লক্ষ মাহফিল ও ফায়দা আসবে. লক্ষ বয়ানেও নসিহত ফায়দা আসবে. এজন্য আমি অনুরোধ করছি আমরা আখেরাতের জিকির করবো. পরকালের অনুভূতি জাগাই

 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url