তারাবীর নামাজ ৮ রাকাত নাকি ২০ রাকাত? মুফতি আরিফ বিন হাবিব Mufti Arif bin Habib
রমজান মাস আসার আগে থেকে আমাদের মাঝে একটা মতভেদ শুরু হয়.
00:00:05
কেউ বলে কেউ বলে কম তারাবি. এরকম একটা মতভেদ দেখা যায় কিনা? না.
00:00:15
মতভেদ যে আমাদের মাঝে হবে এটা রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন কিন্তু আমরা এতটুক বলা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকি যে নবী যেহেতু বলছে মতভেদ হবে তাই মরণ পর্যন্ত শুধু মতভেদ করবো ঠিক না ঠিক মতভেদ যে হবে এটা নবীজি বলেছেন মজার ব্যাপার, মতভেদ নিরসন যে হবে এটাও নবীজি বলে দিয়েছে.
00:00:40
বলেন মতভেদ হবে এটা কে বলেছেন? আর মতভেদ নিরসন হয়ে যাবে এটাও কে বলেছেন? তাহলে আমাদের মাঝে যদি মতভেদ লাগে, এই মতভেদ নিরসন করার দরকার আছে না নাই? তাহলে আমাদের মাঝে মতভেদ শুরু হয়ে গেল. উনি কয় বিশ, উনি কয় ষোলো, আমি কয় বারো, উনি কয় আট ওই উনি কয়েন নাই তো এই যে একটা মতভেদ হতেই পারে মতভেদ এখন নিরসন কি? আবু দাউদ শরীফের বর্ণনা চার হাজার ছয়শো সাত নাসাই শরীফ.
00:01:16
পনেরোশো আটাত্তর.
00:01:17
বিয়াল্লিশ নম্বর.
00:01:21
আবু দাউদ শরীফের চার হাজার ছয়শো সাত নাম্বার হাদিস নাসাঈ শরীফের পনেরোশো আটাত্তর নাম্বার হাদিস বিয়াল্লিশ নাম্বার হাদিস.
00:01:33
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন রসূলউল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন আমার পরে যারা পৃথিবীতে বসবাস করবে. এখন আমরা কি নবীর যুগে না নবীর পরে.
00:02:03
আমার পর যারা পৃথিবীতে বসবাস করবে তারা প্রচুর মতভেদ দেখতে পাবে.
00:02:10
হাদিসের মাধ্যমে বুঝতে পারলাম হবে এটা আল্লাহর নবী বলে দিলেন.
00:02:16
সাথে সাথে আল্লার নবী বললেন তোমাদের মধ্যে যদি মতভেদ লেগে যায় মতভেদ নিরসনের দুইটা উপায় অবলম্বন করবা এক নাম্বার আমার সুন্নত দুই নাম্বার রাশেদা সাহাবাদের সুন্নত তোমরা আঁকড়ে ধরবা তাহলে এক নাম্বার নবীর সুন্নতে আমরা দেখবো কি আছে. দুই নাম্বার যে সুন্নত ওই সুন্নতের মধ্যে আমরা দেখবো কি আছে মতভেদ নিরসন দেহি হয় কিনা এই দুইটা নীতি অবলম্বন করলো এক নাম্বার নবীর সুন্নতে আমরা খুঁজবো এখন তারাবির নামাজ.
00:02:56
সেই বুখারীর বর্ণনা এগারোশো ঊনত্রিশ নাম্বার হাদিস.
00:03:03
এই হাদিসের বর্ণনাকারী তিনি বলেন কিলমাসটি যা তালাইলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন রাতের বেলা মসজিদে নামাজ আদায় করলেন সাহাবারা নবীজির ইমাম অতীতে রসুলউল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লামের পিছনে তারাবির নামাজ জামাতে আদায় করলো.
00:03:45
এইগুলো একদিন.
00:03:54
পরের দিন আবার রসুল তারাবির নামাজ পড়াইলেন পরের দিন জামাতে সাহাবাদের উপস্থিতি আগের দিনের চাইতে আরো বেশি পরিমান বেড়ে গেছে.
00:04:08
তাহলে দুইদিন তারাবির নামাজ জামাতে পড়াইলো পড়ানোর পর তৃতীয় দিন পড়াইসেন অথবা পরান নাই. তো ধরে নিই আমরা দুই দিন বা তিন দিন তারাবিদ নামাজ জামাতে রসুল পড়াইলেন.
00:04:25
পরের দিন আবার সাহাবারা মসজিদে গিয়ে একত্রিত হয়ে গেলেন.
00:04:30
তারা একত্রিত হলেন এই উদ্দেশ্যে যে নবি আবার আজকে আমাদেরকে তারাবির নামাজ পড়াবেন.
00:04:44
কিন্তু রসুল উল্লাহ সাল্লাল্লাহ সাল্লাম তাদের কাছে আসলেন না. তারাবির নামাজ পড়াইতে আর আসেন না.
00:04:53
সালাম সকাল বেলা আল্লা রসুল সাহাবাদেরকে বললেন রাতে তোমাদের তারাবীর আগ্রহ, আমি লক্ষ্য করলাম.
00:05:07
তোমরা যে রাতে তারাবির নামাজ পড়ার জন্য আসছো. তোমাদের এই আগ্রহটা আমি লক্ষ্য করলাম.
00:05:21
আলাইকুম.
00:05:24
আমি তোমাদেরকে তারাবির নামাজ পড়াইতে আসি নাই কেন জানো? আমি আশঙ্কা করলাম না জানি তারাবির নামাজ তোমাদের উপর ফরজ করে দেওয়া হয়. এই আশঙ্কায় আমি তারাবিন নামাজ পড়াইতে আসিনি.
00:05:39
তো যেই নামাজ ফরজ হওয়ার আশঙ্কা নবীজি করলেন এই নামাজের গুরুত্ব কম না অনেক বেশি.
00:05:50
এই অবস্থায় এতটুকু আমরা বুঝতে পারলাম আমাদের মাঝে তারাবি নিয়ে মতভেদ একজন কয় বিষ. আর একজন ষোলো, বারো, আট, চার, একজন কয় নাই? তো রসূল দুই মূলনীতি অবলম্বন করতে বললেন. এক নাম্বার আমার সুন্নত আকরে ধরো. দুই নাম্বার আশেদা সাহাবাদের সুন্নত.
00:06:09
নবীর সুন্নতে আমরা তারাবির নামাজ, জামাতের সাথে দুইদিন বা তিনদিন পাইলাম. কত রাকাত পাই নাই. শুধু পাইছি. দুই দিন বা তিনদিন জামাতে তারাবি. মুসলিম শরী ষোলোশো পঁয়ষট্টি নাম্বার হাদিস.
00:06:23
এই মধ্যে আসছে.
00:06:34
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজান মাসে নামাজ আদায় করার ব্যাপারে সাহাবাদেরকে উৎসাহ প্রদান করতেন উৎসাহ দিতেন.
00:06:48
আর পাশাপাশি এই কথা বলতেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে এবং সওয়াবের আশায় তারাবির নামাজ আদায় করে তার আগের গুনাহ গুলা মাফ হয়ে যাবে.
00:07:10
উৎসাহ.
00:07:12
তো সাহাবারা যার যার মতো তারাবীর নামাজ পড়তেন. কত রাকাত এটা নিশ্চিত না. পড়তেন. যে যার মতো তারাবী পড়তেন. কিন্তু এতটুকু আলোচনায় আমরা পাইলাম. নবী সাহাবাদেরকে জামাতে পড়াইসে. দুই তিনবার. তিনবার. কত রাকা না না এটা জানি না আমরা এই অবস্থায় এই অবস্থায় আল্লাহ রসুল দুনিয়া থেকে বিদায় নিলেন হত্তা রসুল বিদায় নেওয়ার পর খলিফা হলেন আবু বকর সিদ্দিক রোদি আল্লাহু তালা তার খিলাফৎকালেও তারাবির নামাজ উৎসাহ চলতো. মানে উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল. সাহাবাদের মাঝে তারাবি পরো, তারাবি পরো তারাবি পড়লে এই লাভ তারাবি পড়লে আগের গুনাহ মাফ এই উৎসাহ চলতো.
00:08:20
আবু বকর বিদায় নিলেন. পরের খলিফাকে অমর.
00:08:30
শুরুর দিকেও তারাবি উৎসাহ ছিল.
00:08:33
তোমরা তারাবি পড়ো. তারাবি পড়লে এই লাভ. তারাবি পড়লে এই নেকিবাজ এতটুকু.
00:08:42
একদিন ওমর ফারুকরা দিয়ে আল্লাহু তালান রাতের বেলা মসজিদে গেলেন সালাত আদায় করার জন্য কিতাবের নাম মত্তা মালিক অধ্যায়ের নাম এই অধ্যায় একটা হাদিস আনছেন হাদিসের বর্ণনাকারী আব্দুল রহমান আল কারি তিনি বলেন মসজিদের একদিন রমজান মাসে রাতের বেলা ওমর ফারুক রাদিয়াল্লাহু তালা আনহুর সাথে মসজিদে গেলাম মসজিদে গিয়ে দেখলাম মসজিদের মুসুল্লিরা বিক্ষিপ্তভাবে নামাজ আদায় করতেছে. নামাজ.
00:09:35
আর র কেউ একা তারাবীর নামাজ পড়তেছে কেউ আবার দুই চারজন নিয়ে জামাত করতেছে কেউ একা পরে কেউ আবার দুই চার জন নিয়ে জামাতে পড়ো তো এইভাবে যখন চলতেছে তারাবির সালাত কবর ফার কয় মসজিদে অনেকগুলো জামাত হইতাছে. এক মসজিদে একা একাও নামাজ হইতেছে দাঁড়াবি. আবার দুই চার জন নিয় ছোট ছোট জবাব.
00:10:06
ও আমার ফারুক রাদী আল্লাহু তালানহু তখন বললেন আল্লাহর কসম আমি যদি এই মসজিদের সব মুসল্লিদেরকে এক ইমামের পিছনে দাঁড় করাইতে পারতাম তাহলে দৃশ্যটা কতই না চমৎকার হতো যেই ভাবনা সেই কাজ হজরত ওমর ফারুক সাহাবাদের মধ্যে ইমাম বানাইলেন মুসল্লিদেরকে পিছনে এক জামাতে দাঁড় করিয়ে দিলেন ব্যাস তখন থেকে নামাজ এই দেড় হাজার বছর পর্যন্ত তারাবির নামাজ পুরা রমজান মাস জামাতের সাথে আদায় করার প্রচলন শুরু হয়ে যাবে তাহলে নবীর সুন্নতে তারাবিন নামাজ জামাতে পুরা মাস না দুইদিন বা তিনদিন? নবীজির যে ওই সুন্নতে আমরা মতভেদ নিরসন খুঁজতে গিয়ে তারাবির নামাজ পেয়েছি. তো তারাবির নামাজ নবীর সুন্নতে জামাতের সাথে কয়দিন পেয়েছি.
00:11:25
দুই দিন তিনদিন না পুরা রমজান? দুই দিন বা তিনদিন.
00:11:32
মূল নীতি নাম্বার দুইয়ের মধ্যে সাহাবার সুন্নত তথা সাহাবাদের মধ্যে ওমর ফারুকের সুন্নতে আমরা তারাবিন নামাজ জামাতে পেয়ছি পুরা মাস জানাতে পেয়ছি বলেন তো সবাই নবীজির সুন্নতে তারাবির নামাজ জামাতে পেয়ছি এটা কি পুরা মাস নাকি দুই দিন বা তিন দিন আর ওমর ফারুকের সুন্নতে জামাতে তারাবি পেয়ছি দুই দিন বা তিন দিন না পুরা বাস রাকাত পাইনি না পাইনি শুধু পাইলাম জামাতের সাথে রসুলের সুন্নত আর সাহাবাদের সুন্নত মিলাইলে নবীর সুন্নতে দুই দিন বা তিন দিন সাহাবীর সুন্নতের পুরা মাস দুই সুন্নত মিলাইলে নামাজ জামাতে পুরা রমজান মাস আমরা পেয়ে গেলাম এখন বলেন তো যারা বিষ পড়ে তারা কি দুই তিন দিন পরে না পুরা মাস আবার যারা বিশ রাকাতের কম পরে তারাও কি দুই দিন তিনদিন বলে না পুরা মাস বুঝা গেল যারা বিষের কম পড়ে তারাও পুরা মাস তারাবির নামাজ পড়ে ওমর ফারুকের সুন্নাত অনুযায়ী কি ঠিক বুঝে ঠিক নেই পুরা রমজান জামাতে তারাবি এটা আমার ফারুকের মাথায় রেখেন পুরা রমজান জামাতে তারাবি ওমর ফারুক রাদি আল্লাহতালা নুর তাহলে বুঝ তারাবি যারা কম পড়ে তারাও এই জায়গায় ওমর ফারুকের মানে। কথা বুঝছেন নি? অনেকে যারা কম পড়ে হেরা মানতে চাইতাছেন আপনি না মানার কি হলো? আপনি পাইবেন না তো নবীর সুন্নতে দুই দিন বা তিন দিন জামাতে ওমর ফারুকের সুন্নতে পুরা মাস জামাতের নামাজ তার মানে আপনারাও মানেন ওমর ফারুকের সুন্নত তো অনেক ভাইরা এটা স্বীকার করতে চায় না এই আর কি এখন আসেন রাকাব। আল্লা। মক্কা মালিকের বর্ণনা। শিরোনাম বা অধ্যায় বর্ণনাকারীর নাম এই রুমান বলেন ইমামের পিছনে তেইশ রাকাত নামাজ জামাতের সাথে আদায় করতেন কয়রা কার বিশরাকাত কি? তিন রাকাত তাহলে বিশ্বরাকাত বিশরাকাত.
00:14:05
আরো জোরে বিশরাকাত. তিন রাকাত.
00:14:08
বিতির. এবার মিলাদ. বোখারীর এগারোশো ঊনত্রিশ নাম্বার হাদিসে পাইলাম. তারাবিন নামাজ জামাতে দুই দিন বা তিন মুসলিম শরীফের ষোলোশো পঁয়ষট্টি নাম্বার হাদিসে পাইলাম. তারাবি উৎসাহ চলছে.
00:14:23
তারাবির উৎসাহ চলতো. প্রচুর তারাবি যে যার মতো পড়তেন. ওমর ফারুকের শুরুর যুগেও যে যার মতো তারাবি পরতেন. মক্কা মালেকের বর্ণনায় পাইলাম.
00:14:35
যুগে তারাবির নামাজ জামাতে পুরা রমজান মাস আদায় করার প্রচলন হয়. মক্কা মালেকের আর একটি বর্ণনায় পাইলাম. ওমর ফারুকের যুগ থেকে জামাতের নামাজ বিশ রাকাত আদায় করা চালু হয়ে যাবে.
00:14:52
তাহলে আমাদের মাঝে মতভেদ হবে এটা কার কথা? মতভেদ নিরসন ভাবে এটাও তার কথা নিরসনের উপায় দুইটা. এটাও কার কথা.
00:15:04
এক নাম্বার উপায় নবীর সুন্নত. দুই নাম্বার উপায়ে সাহাবাদের সুন্নত. নবীর সুন্নতে তারাবি পাই. সাহাবাদের সুন্নতে তারাবিও পাই, রাকাতও পাই. তাই রসূল আর সাহাবাদের সুন্নত মিলাইলে কমপ্লিট পুরা রমজান মাস বিশ নামাজ করবে.
00:15:22
তাহলে তো আর ঝগড়া থাকে না. কি থাকে না? কয়টা কয়টা মূলনীতি মানতে হবে? বলেন কার দুই নাম্বার এক নাম্বার দুই নাম্বার এবার আসেন. আমি আপনাদেরকে বললাম আমার দিকে তাকান. আপনারা তার কথা শুনবেন. আমার দিকে তাকান. আপনারা তার কথা শুনবেন. এখন তার কথা যদি আপনারা শোনেন তার মানে কার কথা মানলেন? আবার বুঝেন. আমার দিকে তাকান. আপনারা তার কথা শুনবেন. এবং তাঁর কথা শুনবেন. এই যে বললাম আপনারা এখন তাঁর কথা শুনবেন.
00:15:57
তাঁর কথা শোনা শুরু করলেন. এখন তাঁর কথা যদি আপনারা শোনেন তাহলে কাকে মানলেন? আবুজ্জাবু আচ্ছা আপনারা তার কথা শুনবেন তো তার কথা শোনা মানে কার কথা মানা আমার কথা মানা নবীজি বললেন আমার সুন্নত ধরবা আমার সাহাবাদের সুন্নত ধরবা বলেন তো নবীর সুন্নত ধরা মানে কার কথা মানা নবীর কথা সাহাবাদের সুন্নত ধরা মানেই কার কথা বলা অতএব বিশ রাকাত সুন্নত অনুযায়ী আমরা যারা পড়ি নবীর কথাকেই আমরা মানি কারণ মোর ফারুকের সুন্নত যে দাঁত দিয়ে ধরতে হবে এটা কার কথা? নবীর কথা আবার বলেন ওমর ফারুকের সুন্নত যে মারির দাঁত দিয়ে ধরতে হবে এটা কার কথা? তোমার ফারুকের সুন্নত মানা মানি কার কথা মানা খালাস তো ঝগড়া হবে কেন? বিসমিল্লাহ আপনারা অনেকে তো হাদিস ঘাঁটেন তো ঘাটেন এখন খোলেন আবু দাউদ চার হাজার ছয়শো সাত নাসাই পনেরোশো আটাত্তর এগুলি দেখেন তাহলে নামাজ আমরা পরলাম নামাজ আমরা পরার পর এরপর আমরা যারা রাতের বেলা রাত জেগে থাকেন অনেকে.
00:17:18
অনেকে ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন. কোম্পানি কারখানায় চাকরি করেন.
00:17:23
আপনাদের উচিত ঘুমিয়ে যাওয়া. তাড়াতাড়ি. তারাবীর নামাজ পড়ে তাড়াতাড়ি. ঘুমিয়ে যাওয়া বেশি রাত না করা. কারণ আপনি তো বাধ্য. আপনি যেতেই হবে কাজে. সকালে.
00:17:33
ঘুমিয়ে যাওয়ার পর প্রতিদিন এই রমজানে অতীতে যা হবার হয়েছে এই রমজান থেকে নিয়ত করবো যে সাহারীর সময় উইঠা আমরা আট রাকাত তাহাজ্জুদ নামাজ করবো কয় রাকাত আর রাকাত যদি না পারি ছয় রাকাত ছয় রাকাত যদি না পারি চার রাকাত চার রাকাত যদি না পারি কমপক্ষে দুই রাকাত দুই রাকাতের নিয়ত কেউ কইরা নাহলে উঠবেনই না আট রাকাত তাহাজ্জুদ বলেন কয় রাকাত? না পারলে না পারলে না পারলে? নিয়ত হবে কয় রাকাত? বর্ণনা এগারোশো সাতচল্লিশ নাম্বার হাদিস.
00:18:20
মন দিয়ে শোনেন.
00:18:23
এই হাদিসের অনুবাদটা আগে শুনবেন. অনুবাদ শোনার পর আমি আপনাদেরকে কিছু কথা জিজ্ঞাসা করবো. মন দেন. সবাই মন দেন.
00:18:30
সহি বুখারীর এগারোশো সাতচল্লিশ নাম্বার হাদিসের বর্ণনাকারী আবু সালামা রহমতুল্লাহী আলাই.
00:18:38
তিনি আম্মাজানা আইসা সিদ্দিকি আল্লাহু তালা আনহাকে একটা প্রশ্ন করলেন.
00:18:44
আম্মাজান কাইফাকা আনত সালাতু রসুলিল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম.
00:18:54
আম্মাজান আল্লার নবীর রমজান মাসে রাতের নামাজ কেমন ছিল আপনার কাছে জানতে চাই রমজান মাসে রাতের নামাজ. বলে রমজান মাসে বলেন রমজান মাসে? রাতের নামাজ কেমন ছিল আপনার কাছে জানতে চাই. তো রাতের নামাজ কি এটা? বাস রাতের নামাজ. বলেন কিসের নামাজ? রাতের নামাজ.
00:19:14
কেন আম্মাজান যে জবাবটা দিবে? জবাব দেওয়ার পরে আপনারাই বইলেন. রাতের নামাজটা কি হইতে পারে. আগে জবাবটা শোনেন.
00:19:23
আম্মাজান আয়েশা সিদ্দিকীর জবাব দিলেন আম্মাজানা সিদ্দিকি জবাব দেন আল্লার নবী রমজান এবং রমজান ছাড়া এর মানেই রমজান এবং রমজানের বাহিরে যে এগারো মাস এই এগারো মাস এবং রমজান সহ মোট বারো মাস রমজান এবং রমজানের বাহিরে রমজান ছাড়া এগারো মাস রমজান সহ বারো মাস আম্মাজান বলেন এই বারো মাস রাতের বেলা এগারো রাকাতের বেশি আল্লাহ রসুল রাতের নামাজ পড়তেন না কয় মাস মাস বারো মাস রমজান এবং রমজান ছাড়া মোট কয় মাস এই বারো মাস নবীর রাতের বেলা এগারো রাকাতের বেশি নামাজ পড়তেন না চার রাকাত পড়তেন পড়ার পর আল্লা নবী ঘুমাইতেন ঘুমের পর আবার পড়তেন আবার ঘুমিয়ে যাইতেন আবার আল্লাহর নবী জাগ্রত হতেন হওয়ার পর তিন নাকাত বিতিরের সালাত আদায় করতেন আম্মাজান আয়েশা সিদ্দিকা বলেন পড়তেন পড়ার পর আবার চার রাকাত পড়তেন চার দুগুনে আটটাকাত এরপর সুনবা ইউতি রবি সালাত তিন রাকাত বিতির পড়তেন আব্দুল বার এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন তিনি চার রাকাত পড়তেন এরপর ঘুমাইতেন আবার চার রাকাত পড়তেন আবার ঘুমাইতেন এরপর তিন ডাকাত বিতির পড়তেন। রমজানের বাহিরে যে এগারো মাস, রমজানটা বাদ দেন, রমজানের বাহিরে এগারো মাস এই নবীর রাত্রে জাগতেন আবার ঘুমাইতেন, আবার জাগতেন আবার ঘুমাইতেন। এ রাত ব্যাপী যে চার রাকাত নামাজ পড়তেন, এটা রাতের নামাজের নাম কি দিবেন? বলেন তো? আল্লাহ সবাই বলেন.
00:21:30
এই নামাজটা কি অনেক ভাইয়েরা কয় রমজানে তারাবি.
00:21:35
রমজানে কি বলে? এগারো মাসে এটার নাম কি? না না অন্য কোন নাম দেন আপনারা. না দেন ধরে নিলাম এটার নাম তারাবি. কিন্তু এগারো মাস এটার নাম কি হবে? হ্যাঁ বলেন.
00:21:48
এই নামাজটাই রমজান মাসে অনেক ভাইয়েরা বলে এটা তারাবি.
00:21:54
এগারো মাস যেই নামাজের নাম আপনারা কিন্তু বললেন এগারো মাস এটার নাম তো তাহাজ্জুদ ছাড়া অন্য কিছু দেওয়া সম্ভবই না। রমজান মাসে এশার নামাজের নাম কি থাকে? ফজরের নামাজের নাম? জোহরের নাম? আসরের নাম? মাগরিবের নাম? তাহলে রমজানের আগে এগারো মাস এশার নামাজের নাম? রমজানে এশার নাম? মাগরিবের নাম রমজান ছাড়া এগারো মাস? মাগরিব, রমজানে আসরের নামাজ নাম রমজান ছাড়া এগারো মাস আসর. রমজানেও তাহাজ্জুদ নামাজের নাম.
00:22:29
রমজান ছাড়া এগারো মাস.
00:22:31
তো রমজানে কি? এটা কি নাম? ঠিক.
00:22:38
এই এই হাদিস দিয়ে এই হাদিসটা দিয়ে আমাদের অনেক ভাই. আমি বিশ্বাস এটা একদম সম্পূর্ণ দলত ভুল. এই এটা সম্পূর্ণ গলদ বুঝ. এই বুঝ সঠিক না. আম্মাজান তো বলেই দিলেন.
00:22:49
রমজান এবং রমজান ছাড়া. তো বুঝে নিলাম রমজানে এটার নাম তারাবি. কিন্তু রমজান ছাড়া নামটা হবে কি? তা তো এগারো মাস. এটার নাম তাহাজ্জুদ. রমজান. এটার নাম তারাবি হয়ে যাবে. এই ব্যাখ্যাটাও সঠিক হবে না. এই বুঝটাও সঠিক হবে না. এগারো মাস জান্নাম, তাহাজ্জুদ. রমজানেও তার নাম. তাহাজ্জুদ. তারাবি বারো মাসের নামাজ. না. তারাবি এক মাসের নামাজ.
00:23:15
ওলামা ছাড়া অন্য যারা ঠিক বলছেন আপনাদের কাছে আমার জানার বিষয়. বুঝে শুনে ঠিক বলছেন তো ভাই? বাইরই তো বলবেন হুজুর. আপনি মাঠে ঘুরছিলাম. বাহির হয়ে আবার কবুজ হয়ে গেছে. এরকম না তো? আচ্ছা.
00:23:30
যাক আল্লা আল্লা আমি বুঝানোর চেষ্টা করছি আপনি বাকি বুঝ দিয়ে তাহলে আমাদের মাঝে দ্বন্দ্ব হয়েছে কি নিয়া তারাবির রাকাত নিয়া. কি নিয়া দ্বন্ধ হইছে? রসুল বলছে দ্বন্দ্ব হবে. নিরসনের উপায় কয়টা? এক কার সুন্নত. দুই নাম্বার.
00:23:49
নবীর সুন্নতে কি রাকাত পাই না? শুধু তারাবি পাই? সাহাবাদের সুন্নতে কি শুধু তারাবি পাই না? রাকাতও পাই. রাকাতও পাই. খালাস. ঝগড়া শেষ.
00:23:58
তাই ঝগড়ার কি দরকার? বারবার শুধু শুধু.
00:24:01
আল্লাহ ঝগড়া মুক্ত থাকার তৌফিক দান করুন. আমিন