যিনার ওয়াজ মুফতি আরিফ বিন হাবিব Mufti Arif Bin Habib Waz 2023


আল্লাহর নবী বলেন ব্যভিচারকারী যখন ব্যভিচার করে তখন তার ইমান থাকে না ব্যভিচার করা অবস্থায় তার ইমান পরে ঘুরতে থাকে একবার চিন্তা করেন যদি ওই অবস্থায় মারা যাই চুরি যখন চুরি করে চোর যখন চুরি করে চুরি করা অবস্থায় তার ইমান থাকে না ঘুরতে থাকে মদ পান করা অবস্থায় তার ইমান থাকে না ইমানটা ঘটতে থাকে ছিনতাইকারী যখন ছিনতাই করে তখন তার ইমান থাকে না. ইমান ঘুরতে থাকে.
আহারে ছিনতাইকারী আর জিনা, কারিয়া, বকপানকারী তারা যদি একবার ভাবে, ওই অবস্থায় যদি আবার মরণ হয়, যে অবস্থায় আমার ইমানটা যদি না আসে. অপহরাত করা অবস্থায় যদি তার ইমান না আসে, ওই অবস্থায় যদি তার মরণ হয়ে যায়.
সেই বুখারির ছয় হাজার ছয়শো বারো নাম্বার বলেন আদম সন্তানকে আল্লাহ জিনার পরীক্ষা দ্বারা পরীক্ষা করবেন কোনো সন্দেহ নাই চোখের জিনা হলো দেখা কোনো অবৈধভাবে যেই নারীকে দেখা আপনার হারাম তার দিকে তাকান এটা চোখের জিনা বর্তমান জামানায় হইয়া গেছে কি কথা কয় মুখ না ডাকলেও নারীর পর্দা হয়ে যায় তাহলে চোখের জিনার কোনটা নারীর চেহারা যদি না ডাকলে পর্দায় তো চোখের জিনা কোনটা? এরপর আপনি আপনার ছেলেকে বিয়ে করানোর জন্য একটা মেয়েকে দেখতে যান, মেয়ের বাড়িতে নাকি রাস্তায়? সবাই বলেন.
বাড়িতে না রাস্তায়? কেন বাড়িতে যাবেন? এখন তো সহজ হয়ে গেছে. মুখ যেহেতু খোলা রাখার কোন ব্যাপার না. চা দোকানের সামনে দেখলেই তো হয়. দেখে নেবেন চায়ের দোকানের সামনে. কলেজের বাইর হইবো. দেখবেন শেষ. এক টাকাও বাঁচবো. এই তো সুন্দর কথা.
কয় টাকাও বাঁচবো? সুন্দর কথা. আব্বারে বলবে আব্বা চায়ের স্টোনের সামনে দেখছি. তাহলে বলেন মুখ ঢাক হবে কিনা আরে মুখ ঢাকতে হবে বলেই তো ছেলের সামান্য সময়ের জন্য ওইদিন মেয়েটাকে দেখা জায়েজ হয় কত রকমের বিপদে যে একের পর এক আল্লাহ জানে. তো দেখেন এই গেল এটা.
এরপরে বলেন মদিনার মুখের জিনা হল কথা বলা. যেই নারীর সাথে দেখা দেওয়া হারাম, ওই নারীর সাথে সরাসরি কথা বলাও হারাম.
মোবাইলে কথা বলাও হারাম. এই কিভাবে কথা বলা হারাম? মোবাইলে আপনি অপরিচিত একটা নারীর সাথে কথা বললেন. কথা বলার পর রাত্রে আপনি বালিশে মাথা আড্ডা লাগায়া চিন্তা করলেন. না জানি দেখতে তিনি কেমন হন? আল্লাহ নবী কয়ন্না, তোমার দিল কল্পনা এটা হলো দিনের জিনা. অন্তরের জিনা. কি জিনা হয় কিনা? ঘরে ঘরে হয়. এবার বুখারীর হাদিস শোনেন. পাঁচ পাঁচ নয় শূন্য. পাঁচ হাজার পাঁচশো নব্বই নাম্বার হাদিস.
এই হাদিসের অনুবর্ত মন দিয় শুইতেন. আমার উম্মতের মধ্যে এমন অনেক সম্প্রদায় বের হবে. যারা জিনা করাকে হালাল মনে করবে.
রেশমের পোশাক পরা হালাল মনে করবে পান করা হালাল মনে করবে অনুবাদ করবোনি ঢোল তবলা গান বাদ্যকে হালাল মনে করবে শুধু তাই নয় বলবে আমি এমন কোনো কিতাব বাকি নাই সব পরছি পরার পর কোথাও পাই নাই ঢোল তবলা হারাম তাহলে বুখারীর হাদিসটা কই কিতাবটা সব পড়ছেন. এটা পড়েন নাই? না. মানে এটা মনে হয় এই জায়গাটায় হয়ে গেছে.
হ্যাঁ? হারাম তো সম্ভবত হজরত এই জায়গাটা পড়ে নাই. তো বলে যে সব করছেন. তো এই জায়গাটা আপনি পড়েন নাই. এ কি করছে? আচ্ছা যাও.
তাহলে, যখন নাকি কেউ বলে যে গান বাদ্য হারাম. এটা হুজুররা কোথায় পাইছে? এই কথা বলার পরে নবীজির কথার উপর আমাদের ইমান বেড়ে যায়. কারণ আমাদের নবীজি বলছে একটা সময় মানুষ গান বাদ্যকে হালাল মনে করবে.
তাহলে এইগুলা কি ভবিষ্যতে হবে না চলতেছে? চলতেছে. চলতেছে. আল্লাহ বোঝার তৌফিক দান করেন. কটা কিতাব আছে নাম? লেখা এক নাম্বার খন্ড একশো চৌত্রিশ নাম্বার পৃষ্ঠা.
এই কিতাবে একটা হাদিস আসছে। এক ব্যক্তি নবীর কাছে আসছে। হাদিসটা মন দিয়ে শোনেন মজার হাদিস আসার পর আল্লাহ রসূলকে বললেন, ইয়া রসূল আল্লাহ সিনা হুজুর আমারে জিনা করার অনুমতি দেন কি করাবো কি এসে? জিনা করার? এবার আশেপাশে সাহাবা একরাম তো আপনার কি দিয়ে ওই কি আর কথা খুঁজে পায় নাই, নবীজিরে কবার? সবাই বলছে এই আরে থাম থাম, আমরা এরকম বলি না, এই থাম, থাম, এই কি কও নবীজির এগুলো? এই তুমি কোথায় কি করো? হুজুর আমারে জিনা করার অনুমতি নাই। থামো আল্লার নবী কত বড়ো দয়াত নবী আল্লাহ রসুল কয় তাকে আমার কাছে আসতে দাও আসতে দাও.
এই জন্যই তো যারা বাতিনী গুনাহের মধ্যে লিপ্ত আছেন যারা অন্তরের গুনাহ গুলা হেফাজত করতে পারেন না তাদের একজন আল্লাহ ওয়ালা কাছে যাওয়া দরকার আল্লাহ নবী বললেন হুদু নহু আমার কাছে তাকে আনো আল্লা রসুলের কাছে তাকে নিয়ে যায় আমার নবি দিলের কত বড় ডাক্তার দেখেন আল্লার নবী বলেন শোনো তুমি এত হিব বহুলি তুমি আমার কাছে যিনা করার অনুমতি চাইলা তোমার মায়ের সাথে এই কর্মটা অন্য কেউ করো কিনা তুমি পছন্দ করো কিনা ওই ব্যক্তি জবাব রসূল আল্লাহ কসম আমার মায়ের সাথে কেউ ব্যভিচার করবে এটা আমি কস্মিনকালেও পছন্দ করি না আল্লা নবী বললেন কোনো মানুষ তার মায়েদের সাথে তুমি ব্যভিচার করবা কেউ ব্যভিচার করবে এটাও তারা তাদের মায়েদের যত্ন পছন্দ করবে না এরপর নবী বললেন তুমি কি তোমার মেয়ের সাথে অন্য কেউ অপকর্ম করুক জিনা করুক পছন্দ করবা জবাব দিলেন আল্লাহর আমি অপছন্দ করি.
আল্লাহ নবী বললেন মানুষ তাদের কন্যার সাথে কেউ অপকর্ম করবে এটা পছন্দ করে না. নবী বললেন তোমার বোনের সাথে কেউ অপকর্ম করবে পছন্দ করো কিনা. ওই ব্যক্তি জবাব দিলেন না. আল্লাহর নবী বললেন কোন ভাই তার বোনের সাথে কেউ ব্যভিচার করবে. এটা কোন ভাই চায় না.
তুমি কি তোমার ফুফুর সাথে কেউ ব্যভিচার করে এটা পছন্দ করবা? জবাব দিলেন না, আল্লাহর নবী বললেন মানুষ তাদের ফুফুর সাথে কেউ অপকর্ম করবে এটা কখনোই পছন্দ করে না. এরপর নবী বললেন তুমি কি তোমার খেলার জন্য এটা পছন্দ করবা? ওই ব্যক্তি জবাব দিলেন লাই আর রসুল আল্লাহ.
খালার জন্য এটা পছন্দ করবো না. নবী বললেন মানুষ তার খেলার সাথে এটা করাটা পছন্দ করবে না. ওই ব্যক্তি নিচের দিকে তাকায় আছে. আল্লাহ নবী তাঁর মাথায় হাত রেখে বললেন. আল্লাহুম্মা মামুদ আপনি তার গুনাহ গুলা মাফ করে দেন.
এরপর বললেন ও তো ফির করবা. আল্লাহ আপনি তাঁর দিলটাকে পবিত্র বানায় দেন. তাঁর লজ্জা স্থানটাকে আপনি হেফাজত করেন. বলেন. ইলাশাইন. ওই যুবকের এমন হয়েছে. এরপর ওই যুবক হলো নারীর দিকে তাকানো দুরের কথা. কোনো জিনিসের দিকে এইভাবে ওফিরাত তাকাইত না
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url