নামাজের উপকারিতা ওয়াজ মুফতি আরিফ বিন হাবিব Mufti Arif Bin Habib Waz




যারা মসজিদে গেছেন মুসলিম শরীফের চোদ্দশো সাত নাম্বার হাদিস. আল্লার নবী বলেন যেই ব্যক্তি ঘরে ওযু করে. তাহলে একটা সুন্নত যদি পারেন পালন করেন. পারেন যদি. অজুটা ঘরে করবেন. করার পরে এরপর আপনি ঘর থেকে বের হলেন. এই যে দরজা দিয়ে এই যে বাহিরে পাটা রাখছেন. মসজিদে যাবেন.
আপনার দুই পা দুই ভাগ হবে আল্লাহর কাছে. কিভাবে? প্রথম আপনি পা রাখলেন পা রাখার সাথে সাথে আপনার গুনাহবাফ এরপরও তার ফল দরজা আর একটা পা রাখলেন আপনার মর্যাদা তাহলে নামাজের দিকে যদি আপনি যান আপনি যদি ওজু করার পর আল্লাহর কোনো ঘরের দিকে রওনা করেন এক পা ফেলাইবেন আর এক পা ফেলাইবেন মর্যাদা বেড়ে যাই তাহলে যত বেশি হাইটা মসজিদে যাবেন তত সোয়াব এক সাহামা অনেক দূর থেকে মসজিদে আসতো অন্যান্য সাহাবারাক তুমি একটা বাহন কিনতে পারো না. বাহন দিয়ে আসবা? কয় না নবীজি বলছে যত হাইটে আসবে তত সোয়াব তাই আমি বাহন কিনি না. কয় মিয়া তুমি মসজিদের আশেপাশে ঘরটা বানাইতে পারো না? কয় না নবী বলছে যত দূর থেকে আসবো তত বেশি সোয়াব.
মসজিদে সকাল সন্ধ্যা কয়বার যাই আমরা? পাঁচবার. বলেন? কয়বার যাই? পাঁচবার. আসবার. বুখারী শরীফের ছয়, ছয়, দুই, কত হয়? ছয়শো? আমি আবার এটা করাই. প্রত্যেক মাহফিলে. এটি বলাই কেন জানে চাইল্ডের সামনে আমরা জীবৎসাকাত না করে এমনি কমু. হুজুর কালকে ছয় ছয় দুই কইছে. কয় কি বুখারি শরীফে ছয়শো বাষট্টি নাম্বার. ভাই আমি চাইতাছি আমাদের মুসলমানদের কথাবার্তাগুলো এইরকম হয়ে যাক. ঠিক. চার সামনে বইসা। পরিবর্তে এইগুলা হোক। যে বুখারী শরীফের হুজুর শিখাইছে তিন তিন এক তেত্রিশে একত্রিশ নাম্বার হাদিস। ওই জায়গায় কি কইছে? কই জায়গায় বলছি মহিলাদেরকে খালি ওয়াচ করো, পিটাইও না খালি ওয়াচ করো, ওয়াচ করো, সুবহানাল্লাহ আবু দাউদ শরীফের তিন তিন এক তেত্রিশ, একত্রিশ নাম্বার হাদিস, কইতে সুন্দর লাগে না কথাগুলা? ওইখানে আবার কি কইছে? কয় জায়গায় বলছে? এমন একটা সময় আসবে, এই সময় সবাই মিছিল দিয়া সুখ খাবে, কেউ বাকি থাকবে না। ডাইরেক্ট যদিও না খায়, সুদের হাওয়া সবার গায়ে লাগবে। নবীজি বলছেন, এরকম তেত্রিশশো সত্তর নাম্বার হাদিস বুখারী শরীফের ওখানে আবার কি? ওখানে নবী দুটো শিখায় দিছে.
কয় কোন দুরুত কয় যেটা নামাজে পড়ি. সুবানাল্লাহ. আলি মোহাম্মদ. এই বিষয়গুলো আমি চাইতেছি মুসলমানদের মুখে মুখে চাইল্ড স্টোলের সামনে এইগুলো আলোচনা হোক. গিবত শেখায়ত না হোক. তো বলতেছিলাম বুখারী শরীফের ছয়, ছয়, দুই, কত হয় ছয়শো? বলেন না একটু আমরা আলোচনা করি. ছয়, ছয়, ছয়, দুই, দুই, কত হয় ছয়শো? বাষট্টি. এই হাদিসের রসূল আক্রাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন.
কোন ব্যা যখন সকাল সন্ধ্যা মসজিদে যায় যতবার মসজিদে যায় ততবার তার জন্য জান্নাতে মেহমানদারি প্রস্তুত হয়ে যায় পেট রেডি করেন তাড়াতাড়ি খাওয়ার জন্য কি পরিমান খাইবেন দেখি জান্নাতে গিয়ে যাহ যতবার মসজিদে যাবেন ততবার মেহমানদারী তাহলে আমরা যতবার মসজিদে যাচ্ছি চিন্তা করেন কি পরিমান খানা আল্লা আমাদের জন্য রেডি করে রাখছে আচ্ছা নামাজ পড়ার পর আপনারা অনেকে বইসা বইসা বইসা থাকেন না মসজিদে আলহামদুলিল্লাহ পড়েন. আপনি তাসবি পড়েন না. কিচ্ছু কইরেন না. এমনি বইসা রয়েছেন নামাজ পইড়া. আল্লা বইসা রয়েছেন মসজিদের এক কোনায়. অজু অবস্থায় বইসা রয়েছেন. বইসা বইসা ঘুমাইতেছেন. অজু অবস্থায় বইসা বইসা ঘুমাইতেছেন. বইসা রয়েছেন. কোন কাজ করতাছেন না. নবীজি বলেন বুখারী শরীফের একুশশো উনিশ নাম্বার হাদিস. দুই এক নয়. একুশশো উনিশ. টিনা. দুই এক নয়.
একুশশো উনিশ. এই হাদিসের রসূল আক্রাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন. নামাজ পড়ার মুসল্লি যেই জায়গায় বসে আছে, বসে থাকার পর ওই মুসল্লি যতক্ষণ মসজিদ থেকে বের না হয় ফেরেশতারা. তার জন্য আল্লাহর কাছে দুইটা দোয়া করতেই থাকে. করতেই থাকে. এক নাম্বার ফেরেশতারা বলে মামুদ তুমি এই বান্দার উপর শান্তি নাজিল করো.
বেচারায় ফিরে মসজিদে বইসা আছে. আল্লাহ আমরা ফেরেস্তারা বলতেছি. তাঁরে তুমি শান্তি দিয়ে দাও. ভাই কিভাবে বুঝামু আপনাদেরকে? আপনি পেরেশান হয়ে মসজিদে গিয়ে বুঝে রয়েছেন. ফেরেশতারা আল্লাহরে আল্লাহ তারে শান্তি দেন.

দুই নাম্বার আল্লাহ তুমি তাঁকে তোমার রহমতের চাদর দ্বারা ঢেকে নাও. দুয়া দুইটা সুন্দর না. ঠিক. তাহলে অস্থির কাজ করতাছে. পেরেশানিতা আছে. মসজিদে নামাজ পড়ে একটু বইসা থাকেন. আর মনে মনে ভাববেন যে হুজুরে বুখারী শরীফের দলিল দিয়া বলছে. আমি মসজিদে যতক্ষণ বসে থাকবো. আমার পেরে স্বামী দূর হওয়ার জন্য ফেরেশতারা দোয়া করবে.
00:04:26
মসজিদে যাইয়া দেখছেন. আপনাদের এলাকায় জোহর কয়টায়? দেড়টায় না শো একটা. আচ্ছা শোয়া একটা ধরি নি আমরা. মসজিদে গেছেন আপনি যাওয়ার পরে সুন্নত পড়ে দেখতেছেন. বিশ মিনিট বাকি আছে. বইসা রয়েছেন. কোন কাজ নেই. এই যে আপনি বইসা আরো বিশ মিনিট বসে থাকবেন. আপনি এমনিই বইসা রয়েছেন. অটোমেটিক গাছের পাতার মতো আপনার ঘুনা ঝরে পড়তেছে.
দলিল? মুসলিম শরীফের চারশো পঁচাত্তর নাম্বার হাদিস. আল্লাহ নবী বলেন আমি কি তোমাদেরকে এমন তিনটে আমলের কথা বলবো না. যেই তিনটা আমল করলেই তোমাদের গুনাহ অটোমেটিক মাফ হইতে থাকে.

এক নাম্বার. তুমি অবশ অপছন্দ মানে কষ্ট হইতেছে করতে কষ্ট এরপরেও তুমি ওজু করা ওজু করতে কষ্ট হইতাছে এরপরে করা ওজু করতে কষ্ট হয় মনে করেন এই জায়গায় একটু সমস্যা আছে তো আপনি আস্তে দিনে ওযু করতেছেন কষ্ট এক নাম্বার কষ্ট হইলো অজু করা দুই নাম্বার হাইটা বেশি বেশি মসজিদে যাওয়া তিন নাম্বার নামাজের অপেক্ষায় বসে থাকা এই তিনটা আমল তোমরা করতেসো গাছের পাতার মতো গুনাহ জোরে পড়ে যা এই জায়গায় গাছের পাতা শব্দটা নাই. এখানে আসছি ঘোনা ঝরে পড়ে. আরে বের হইতাছে. সাহাবা তাকায়ে রয়েছে. তো মাথায় লাইগ্যা গাছের পাতা ঝরে পরতাসে. তাকাইয়া রইসে. নবীজি বলেন কি ব্যাপার আশ্চর্য হইতেছে? গাছের পাতা পড়তেছে. এই গাছের পাতাগুলা যেইভাবে পড়ে.
নামাজ পড়বা এইভাবে তোমার গুনাগুলা ঝরে পড়েছে. মসজিদে গিয়া অপেক্ষা করলেও কোন গ্লাস নাই. কিন্তু আপনারা কি করেন জানেন? শয়তান সময় যদি একটা ষোল বাইজা যায় অথবা সতেরো ইমাম সাহেব আসে না. সবাই একসাথে মিসিল দিয়া.
হুজুর আসে না কেন? হুজুর আসে না কেন? এখন তো গাড়িটা পড়বেন না. কেন? যে হুজুর আসতে দুই মিনিট দেরি হইলে আমার লাভ. দুই মিনিট আরো গুনাহ ধরবে. সুহা.
আবু দাউ শরীফের পাঁচ পাঁচ আর পাঁচশো আটান্ন নাম্বার হাদিস. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ঘর থেকে যারা উজু করে বের হয়ে মসজিদে আসবেন. আসার পর নামাজে দাঁড়াইলেন. আজি রুহু কাজিল হাজির এহরাম বাধা অবস্থায় হাজী সাহেব হজ করলে যে সওয়াব আপনি এই সওয়াব পাবেন. সুবহানাল্লাহ.

নামাজ আপনি দেখেন কত পরিমানে গেলে গুনা মাফের গেলে মর্যাদা বাড়ার সোয়াব নামাজে গেলে নবীর কাছে জান্নাতে থাকার ফজিলত আর কিছু না মানুষ বোঝে না. মানুষ দুনিয়ার সব করে নামাজ ছাড়া. বিশ্বাস করেন আমাদের সব সুন্দর নামাজ ছাড়া.
আমরা যারা নামাজ পড়িও, নামাজটা সুন্দর হয় না আমাদের. আমি আপনাদেরকে বলছি বুখারি শরীফের সাতশো সাতান্ন নাম্বার হাদিস দিয়া. নামাজটা যেন খুব ধীরস্থিরতার সাথে সুন্দরভাবে হয়. হবে না. ইনশাল্লাহ. ইনশাআল্লাহ. অনেক সময় হয়ে গেল. এটা চার, চার, চার, পাঁচ, চারশো-পঁয়তাল্লিশ নাম্বার হাদিস. এ হাদিস আসছে দেখেন. কি মজার হাদিস. আপনারা যারা মসজিদে নামাজ পড়তে যান.
যাওয়ার পর এর ওপরে বাসায় ফিরে আসার আগ পর্যন্ত বাসায় ফিরে আসার আগ পর্যন্ত ওই ব্যক্তি নামাজে থাকলে যে সোয়াব বাসায় যাওয়ার আগ পর্যন্ত অন্য গুনাহ কইরেন না. এদিক সেদিক টিভিতে দাঁড়ায়েন না. নামাজে গেছেন. আবার বাসায় চলে গেছেন. আল্লাহ আপনাকে বাসায় যাওয়ার আগ পর্যন্ত সওয়াব দিতেই থাকে. সুবাহানাল্লাহ. লস আছে? নাই. আল্লাহ যে কথাগুলো শুনলাম, বললাম আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করেন

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url