কুফুরী কালাম বিশ্বাস করলে কি হয় শাইখ আহমাদুল্লাহ Sheikh Ahmadullah
কুফুরী কালামে বিশ্বাস করলে কি হয়? কুফুরী কালামের আশ্রয় যদি নেয় কেউ তাহলে সেটা কবিরা গুনাহ. এবং এটার প্রতি ঈমান আনলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইমান চলে পর্যন্ত যেতে পারে. ইমান হারা পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে. আমার দেশে অনেক মানুষ আছে. কিছু হলেই কবিরাজের কাছে যায়. অনেক কবিরাজ কুফুরী কালামের আশ্রয় নেয়. শয়তানের আশ্রয় নাই. এরকম আছে না নাই? অনেক সময় শয়তানি আপনাকে ডিস্টার্ব করে. ব্ল্যাক ম্যাজিক হয় শয়তানের মাধ্যমে. আপনার শয়তান আক্রমণ করে.
জিনগ্রস্ত করে কোন মানুষকে.
এরপরে শয়তান চায় যে আক্রমণ করলাম যাতে আমার দলে চলে আসে. এটা অনেক সন্ত্রাসীদের কায়দা যে সন্ত্রাসী অনেক সময় সন্ত্রাস করে অনেক মানুষকে নিজের বশে আনে. যে আমার দলে আসো নাহলে তোমাকে শেষ করবো. ঠিক একইভাবে ব্ল্যাক ম্যাজিক, কালো জাদু এবং দুষ্টু জিনিসের উপদ্রব দিয়ে শয়তান নানা মানুষকে তার দলে বিরায়. খবরদার. আমাদের যদি কোন অসুবিধা হয়, আমরা কোরান থেকে সেবা গ্রহণ করব. প্রত্যেকে সেবা নেব.
ইনশাআল্লাহ. আল্লাহ বলেছেন কোরানে কোরানে তুললেন.
ঈমানদারদের জন্য সেফা হয়. এমন কোরআন আমি নাজিল করেছি. এটা রুহেরও সেফা. আবার শরীরেরও অতএব কোরান থেকে সেবা নিবেন. আপনি কারো কাছ থেকে যাওয়ার প্রয়োজন নেই. নিজে নিজেই সুরায়ে ফাতেহা পড়ে ফু দেন. আর যদি কোন করাতে পারেন আরো ভালো. তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার সেবা হবে সেটি. অন্যান্য সূরাগুলোও সেফা. বিভিন্ন আয়াতে সেফা আছে. সেগুলো পড়তে পারেন. অতএব কোন কুফুরী কালাম করে. এরকম কোন মানুষের কাছে যাওয়া জায়েজ হবে. কারা কুফুরী কালাম করে বুঝবেন কিভাবে? প্রথম কথা হল ওই লোক ব্যক্তিগতভাবে. পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করেন কিনা. তার ভিতরে ঈমান আছে কিনা. শিরিক সম্পর্কে সাবধান কিনা. বেদাত সম্পর্কে সাবধান কিনা.
এরকম মানুষ হলে তাঁর কাছ থেকে আপনি ঝাড়ফুঁক নিতে পারেন.
এটা দেখে পারেন যে লোকটা কুফুরী কালাম করবে না. দ্বিতীয়ত সে যদি আপনাকে এমন কোন তাবিজ, কবজ এমন কিছু দেয়. বিশেষ করে বিভিন্ন জিনিসপত্র এগুলার মধ্যে গিরা তারপরে আপনার সুতে বা সুতা বাঁধা সেগুলোর মধ্যে বিভিন্ন জিনিস লেখা, বিভিন্ন প্যারাক পোতা, এগুলো সবগুলো কুফুরী কালামের লক্ষণ. এগুলো যারা করে তাদের কাছে যাওয়া জায়েজ নাই হারাম. ইমান পর্যন্ত নষ্ট হতে পারে. আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত থাকার তৌফিক দান করুন