ইমাম সাহেব বেপর্দা মাহিলার সাথে সরাসরি কথা বলা প্রসঙ্গে মাসআলা

ইমাম সাহেব বেপর্দা মাহিলার সাথে সরাসরি কথা বলা প্রসঙ্গে মাসআলা

 

প্রশ্ন : আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব তদবীর করেন। তার তাবীজ, তেল পড়া ও পানি পড়ায় অনেকে উপকার পেয়েছেন। কিন্তু তিনি পুরাপুরি শরয়ী পর্দা মেনে চলেন না। অনেক মহিলা বেপর্দা অবস্থায় বা বোরকা ছাড়া তার নিকট আসেন। অনেকে বোরকা পরা থাকলেও চেহারা খোলা থাকে। এ অবস্থায় তারা ইমাম সাহেবের সাথে সরাসরি বেপর্দাভাবে কথা বলেন, তদবীর নেন। এলাকার লোক অধিকাংশ অশিক্ষিত। তারা ইমাম সাহেবকে এ ব্যাপারে কিছুই বলেন না। এ অবস্থায় ওই ইমাম সাহেবের জন্য ইমামতী করা বা তার পিছনে নামায পড়া জায়িয হবে কি না?

উত্তর : বর্ণিত সূরতে উক্ত ইমাম সাহেবের জন্য নামাযের ইমামতী করা সম্পূর্ণ নাজায়িয ও মাকরূহে তাহরীমী হবে। শরীয়তের দৃষ্টিতে, পর্দা করা ফরজ। বেপর্দা চলা সম্পূর্ণ নাজায়িয ও মারাত্মক গুনাহর কাজ। পর্দার বিধান মেনে চলা নারী-পুরুষ সকলের জন্য জরুরী। বিশেষ করে যিনি ইমাম হবেন, তার এ ব্যাপারে বেশী লক্ষ্য রাখা জরুরী। কারণ, ঈমানের পর সবচেয়ে বড় আমল হলো নামায। আর সকল মুসল্লীদের নামায সহীহ হওয়া ইমামের নামায সহীহ হওয়ার উপর নির্ভর করে। ইমামের নামাযে ক্ষতি হলে, মুসল্লীদের নামাযে ক্ষতি হয়। এজন্য ইমাম সাহেবকে নিজের তাকওয়া-পরহেজগারী, পর্দা-পুশিদা ও হালাল-হারামের বাছ-বিচারের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশী লক্ষ্য রাখতে হবে।

বর্ণিত সূরতে উক্ত ইমাম সাহেব যদি বলার পর সংশোধন হয়ে যান, তাহলে ভালো কথা। কিন্তু যদি সংশোধন না হন এবং সেই গুনাহর কাজ থেকে বিরত না থাকেন, বেপর্দা বেগানা মেয়েদের সাথে কথা বলেন, তদবীর দেন, তাহলে মসজিদ কমিটি ও মুসল্লীদের করণীয় হলো- তার পরিবর্তে অন্য মুত্তাকী পরহেজগার কোন আলেমকে ইমাম হিসেবে নিযুক্ত করা

[হাওয়ালা : সূরাহ নিসা, ২৩/ সুরাহ নূর : ৩০, ৩১/ মুখারী/ মুসলিম / মিশকাত, ২৬৮/ ফাতাওয়া আলমগীরী ১ : ৩২৭/ ফাতাওয়া শামী, ৬:৩৭১/ আল বাহার, ৯ : ৩৫১)

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url