স্ত্রীকে মূল্যায়ন করা, স্ত্রীকে সম্মান করা, স্ত্রীর কথাকে গুরুত্ব দেয়া, তার সাথে পরামর্শ করা, বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করা, তার সাথে ভালো আচরণ করা, তার অধিকার
স্ত্রীকে মূল্যায়ন করা সম্মান করা, স্ত্রীর কথাকে গুরুত্ব দেয়া, তার সাথে পরামর্শ করা, বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করা, তার সাথে ভালো আচরণ করা, তার অধিকার।
স্ত্রী কে মূল্যায়ন করা, সম্মান করা, স্ত্রীর কথাকে গুরুত্ব দেয়া, তার সাথে পরামর্শ করা, বিভিন্ন বিষয় শেয়ার করা, তার সাথে ভালো আচরণ করা, তার অধিকার পরিপূর্ণভাবে নিশ্চিত করা, তাকে খুশি করা বা আনন্দে রাখাকে বৌ-পাগলামো কিংবা বৌয়ের আঁচলের নিচে থাকা বোঝায় না। তাছাড়া এতে করে স্বামীর সম্মান কমে যায় না, বরং মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
মহান আল্লাহ্ ﷻ বলেছেন, ‘‘তারা (স্ত্রীরা) তোমাদের (স্বামীদের) জন্য পোশাকস্বরূপ এবং তোমরাও তাদের জন্য পোষাকস্বরূপ’’। (সূরা বাকারাহ:১৮৭)
প্রিয়নবী রাসূল ﷺ এর জীবনী পর্যালোচনা করলে দেখা যায় তিনি-
স্ত্রীর মনোভাব বুঝতেন,
স্ত্রীদের সাথে পরামর্শ করতেন,
স্ত্রীর মতামত কে গুরুত্ব দিতেন,
স্ত্রীর সাথে হাস্যকৌতুক করতেন,
দৌড় প্রতিযোগিতা করেছেন,
এমনকি নিজ হাটু গেড়ে স্ত্রীকে উটের পিঠে উঠতে সাহায্য করেছেন।
(বুখারী : ২৬৯৪, ৫৬৪৯, আবু দাউদ : ২৫৭৮)
রাসূলে কারীম ﷺ বলেছেন, তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে তার স্ত্রীর নিকট উত্তম। (হাদিস সম্ভার : ২৬৩১)
রাসূলুল্লাহ ﷺ আরও বলেছেন, ‘মুমিন পুরুষ তার স্ত্রীকে ঘৃণা করবে না। যদি স্ত্রীর কোনো একটি দিক তাকে অসন্তুষ্ট করে, তবে অন্য দিক তাকে সন্তুষ্ট করবে’। (মুসলিম : ১৪৬৯)
আমরা অনেক কিছুই খেয়াল করিনা, হিশেবে ধরিনা, মূল্যায়ন করিনা; কিন্তু আমাদের আল্লাহর আঈনের প্রতি যথাযোগ্য সম্মান রাখতে হবে এবং মানতে হবে।
একবার সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনু রাওয়াহা (রা.) কাঁদছিলেন। তাঁর স্ত্রীও কান্না শুরু করলেন।
তিনি স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি কাঁদছো কেনো?’ স্ত্রী বললেন, ‘আপনি কাঁদছেন, তাই আপনার কান্নায় আমিও কাঁদছি’। [ইবনুল জাওযি, সিফাতুস সাফওয়া : ১/৪৮২]
স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক এমনটাই হওয়া উচিত। স্বামীর দুঃখে স্ত্রী দুঃখিত হবে, স্ত্রীর কষ্টে স্বামী ব্যথিত হবে।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে আদর্শ পরিবার গঠনে সাহায্য করুন, আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রিয়নবী মুহাম্মাদ ﷺ কে পরিপূর্ণভাবে অনুসরণ করার তাওফিক দিন।