আয়কর জিরো রিটার্ন দাখিলের নিয়ম
আয়কর জিরো রিটার্ন (Zero Return) দাখিল করার নিয়ম বাংলাদেশে নির্দিষ্ট কিছু ধাপ অনুসরণ করে সম্পন্ন করতে হয়। এটি মূলত সেইসব করদাতাদের জন্য প্রযোজ্য, যাদের আয়করযোগ্য আয় নেই বা ন্যূনতম করের আওতায় পড়েন না, তবে টিআইএন (TIN) আছে এবং রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক।
জিরো রিটার্ন দাখিলের নিয়ম:
১. প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করুন:
২. অনলাইনে বা সরাসরি ফর্ম পূরণ করুন:
- টিআইএন (TIN) সনদ
- জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা পাসপোর্ট
- পূর্ববর্তী আয়কর রিটার্ন (যদি দাখিল করে থাকেন)
- বিনিয়োগ বা আয়ের কোনো তথ্য (যদি প্রযোজ্য হয়)
(ক) অনলাইনে দাখিলের পদ্ধতি (eReturn - www.etaxnbr.gov.bd):
৩. নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাখিল করুন:
৪. দাখিলের পরে নিশ্চিতকরণ রসিদ সংগ্রহ করুন:
জিরো রিটার্ন দাখিলের উপকারিতা:
✔ আয়কর নোটিশ থেকে মুক্তি
✔ ভবিষ্যতে ঋণ নেওয়ার সুবিধা
✔ টেন্ডার, ট্রেড লাইসেন্স, ভিসা প্রসেসিং ইত্যাদির জন্য দরকার
- ই-টিআইএন পোর্টালে লগইন করুন।
- আয়কর রিটার্ন ফর্ম পূরণ করুন।
- জিরো ইনকামের ক্ষেত্রে আয় উল্লেখ করবেন না বা ন্যূনতম আয় লিখুন।
- রিটার্ন দাখিল করুন ও রশিদ সংগ্রহ করুন।
- আয়কর অফিস থেকে রিটার্ন ফর্ম সংগ্রহ করুন।
- নির্দিষ্ট অংশগুলো পূরণ করুন এবং আয়ের অংশে "শূন্য" বা "০" উল্লেখ করুন।
- স্বাক্ষর করে সংশ্লিষ্ট কর অফিসে জমা দিন।
- জমা দেওয়ার রশিদ সংগ্রহ করুন।
- সাধারণত ৩০ নভেম্বর প্রতিবছর আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ।
- সময় বাড়ানো গেলে কর অফিস থেকে অনুমতি নিতে হবে।
- অনলাইনে দাখিল করলে eReturn সনদ ডাউনলোড করুন।
- সরাসরি জমা দিলে প্রাপ্তি রসিদ সংগ্রহ করুন।
✔ আয়কর নোটিশ থেকে মুক্তি
✔ ভবিষ্যতে ঋণ নেওয়ার সুবিধা
✔ টেন্ডার, ট্রেড লাইসেন্স, ভিসা প্রসেসিং ইত্যাদির জন্য দরকার
আপনার যদি আরও বিস্তারিত তথ্য লাগে, তাহলে স্থানীয় কর অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন।