শবে বরাতের রোজার ফজিলত
শবে বরাতের রোজার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হাদিস অনুযায়ী, ১৪ শা'বান রাতটি অত্যন্ত বরকতময় ও গুনাহ মাফের রাত। এ রাতে ইবাদত-বন্দেগির পাশাপাশি পরের দিন (১৫ শা'বান) রোজা রাখারও গুরুত্ব রয়েছে।
শবে বরাতের রোজার ফজিলত:
রাসুলুল্লাহ (সা.) রোজার প্রতি উৎসাহ দিয়েছেন:
হাদিসে এসেছে, হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন—
"যখন শাবানের মধ্য রাত আসে, তখন তোমরা সে রাতে ইবাদত করো এবং দিনে রোজা রাখো। কারণ, ওই রাতে আল্লাহ সূর্যাস্তের পর থেকেই দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন এবং বলেন— 'আছে কি কেউ ক্ষমাপ্রার্থী? আমি তাকে ক্ষমা করব। আছে কি কোনো রিজিকপ্রার্থী? আমি তাকে রিজিক দেব।' (ইবনে মাজাহ: ১৩৮৪)"
গুনাহ মাফ ও রহমত লাভের সুযোগ:
এ রাতে আল্লাহ অসংখ্য বান্দাকে ক্ষমা করেন এবং সকাল পর্যন্ত দোয়া কবুল করেন। যারা রোজা রাখেন, তারা দ্বিগুণ সওয়াব লাভ করেন।
সুন্নতের অনুসরণ:
রাসুল (সা.) নিয়মিতভাবে শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখতেন, বিশেষ করে ১৫ শা'বানের রোজার ব্যাপারে উৎসাহ দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে,
"আয়েশা (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.) কে বলতে শুনেছি, ‘শাবান হলো এমন একটি মাস, যা রজব ও রমজানের মাঝে অবহেলিত থাকে। এ মাসে বান্দার আমল আল্লাহর কাছে ওঠানো হয়। আমি চাই, আমার আমল যেন রোজা অবস্থায় ওঠানো হয়।’" (নাসাঈ: ২৩৫৭)
শবে বরাতের রোজা রাখার নিয়ম:
- রোজার নিয়ত করতে হবে (সেহরির আগেই করা উত্তম)।
- ১৪ শা'বানের রাত ইবাদতে কাটিয়ে ১৫ শা'বানের দিনে রোজা রাখা সুন্নত।
- অন্যান্য নফল রোজার মতোই এটি রাখা যাবে।
শবে বরাতের রোজা রাখার উপকারিতা:
- গুনাহ মাফের সুযোগ পাওয়া যায়।
- নেক আমল আল্লাহর কাছে কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
- আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়া বৃদ্ধি পায়।
- রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে সহায়ক হয়।
📌 শেষ কথা:
শবে বরাতের রোজা রাখা সুন্নত ও ফজিলতপূর্ণ। তবে এটি বাধ্যতামূলক নয়, বরং নফল ইবাদত হিসেবে রাখা যেতে পারে। আল্লাহ আমাদের এই বরকতময় রজনী ও রোজার সওয়াব লাভের তৌফিক দিন। আমিন! 🤲